আল্লাহ তাআলা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে মুসলিম হতে অর্থাৎ আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনিও আল্লাহর দরবারে আত্মসমর্পণ করলেন, যে কারণে আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। মুসলিম জাতিকে মিল্লাতে ইবরাহিম হিসেবে নামকরণ করেন। কুরআনে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তথা মিল্লাতে ইবরাহিমকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ যেভাবে উল্লেখ করেন-(আর স্মরণ কর) যখন তাঁর প্রতিপালক তাঁকে বলেছিলেন, অনুগত হও; (আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে আত্মসমর্পণ কর এবং দ্বীনকে তার জন্যই নিখাদ কর) তৎক্ষনাৎ সে (ইবরাহিম আলাইহিস সালাম) বলেছিল, আমি বিশ্ব জগতের প্রতিপালকের নিকট আত্ম-সমর্পণ করলাম। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৩১)কুরআনের বর্ণিত নির্দেশের অর্থ হলো- মুসলমান হওয়া। যে ব্যক্তি আল্লাহর অনুগত হয়, আল্লাহকে নিজের প্রভু ও মাবুদ হিসেবে মেনে নেয়, নিজেকে পুরোপুরি আল্লাহর হাতে সোপর্দ করে দেয় এবং দুনিয়ায় আল্লাহ প্রদত্ত জীবন-বিধান কুরআন অনুযায়ী জীবন-যাপন করে, সে-ই মুসলিম। আল্লাহ তাআলার নির্দেশ পালনে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তাঁর জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে দৃষ্টান্তহীন অনুসরণ ও সর্বোচ্চ আনুগত্যের নমুনা পেশ করেছিলেন।পরিশেষে...হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী নিজে মুসলিম হতে পেরেছিলেন। তাইতো মিল্লাতে ইবরাহিম তথা মুসলিম জাতির উচিত, তাঁর গুণগুলো বাস্তবজীবনে অবলম্বন করা। আল্লাহ তাআলা কুরআনে তাঁর গুণগুলো উল্লেখ করে বলেন, ‘ইবরাহিম খাঁটি ও অনুগত বান্দা ছিল, কখনও মুশরিক ছিল না; প্রভুর নিয়ামাতের প্রতি কৃতজ্ঞ ছিল, আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় ছিল, সঠিক পথের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল, পৃথিবীর উত্তম লোকদের অন্তর্ভূক্ত ছিল এবং পরকালেও সে সৎ লোকদের অন্তর্ভূক্ত হবে।’সুতরাং মুসলিম উম্মাহ উপরের গুণাবলীতে জীবন সাজাতে পারলেই সার্থক হবে দুনিয়ার জীবন। আল্লাহ তাআলা হজরত ইবরাহিমের মিল্লাতকে এ গুণাবলী অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement