জুমআর দিন সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এ দিনের ফজিলত অনেক। তাই কোনো মুসলমানের উচিত নয় যে, জুমআর নামাজ থেকে বিরত থাকা। জুমআর দিনকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বনবি। আবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ব্যতিত জুমআ’র নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। চার শ্রেণির লোক হল-ক. ক্রীতদাস;খ. স্ত্রীলোক;গ. অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক;ঘ. মুসাফির এবং রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)।জুমআ`র নামাজ না পড়ার পরিণাম-সুতরাং বিনা ওজরে যে বা যারা জুমআর নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকবে, তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ পরিণাম। যা তুলে ধরা হলো-ক. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমআ বিনা ওজরে ও ইচ্ছা করে ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (তিরমিযী,আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)।খ. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জুমআ ত্যাগকারী লোকেরা হয় নিজেদের এই খারাপ কাজ হতে বিরত থাকুক। (অর্থাৎ জুমআর নামা আদায় করুক), নতুবা আল্লাহ তাআলা তাদের এই গোনাহের শাস্তিতে তাদের অন্তরের ওপর মোহর করে দেবেন। পরে তারা আত্মভোলা হয়ে যাবে। অতপর সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যাবে। (মুসলিম)।গ. হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনা এই রকম- যে ব্যক্তি পর পর তিনটি জুমআ পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পিছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)।পরিশেষে…আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমআর নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। যারা বিগত দিনগুলোতে ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক জুমআর নামাজ আদায় করতে পারেনি, সে সকল লোককে নিয়মিত জুমআর নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন।সর্বোপরি আল্লাহ তাআলা সবাইকে নিয়মিত জুমআর নামাজ আদায় করে হাদিসে উল্লেখিত ভয়াবহ লানত তথা বিপদ থেকে হিফাজত করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement