এবারের ঈদে শহরের তুলনায় গ্রামের ইন্টারনেটের গতি অনেকাংশে কমেছে। মোবাইল অপারেটরের রাজকীয় বিজ্ঞাপনের বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না শহরের বাইরে। ঈদের সময় শহরে বাস করা ৭০ শতাংশ মানুষ গ্রামে চলে যায়। সেখানে তারা অনলাইনে থাকে। হাক-ডাক দেয়া মোবাইল অপারেটরগুলো গ্রামীণ নেটওয়ার্ক নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে আগাম ব্যবস্থা না নেয়ায়এই বিপর্যয় দেখা দেয়। আর অপারেটর যেনো কোনো দায়বদ্ধতা নেই। কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশর গ্রামের মানুষ নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।এ বিষয়ে বাংলালিংকের উপরে ক্ষোভ জেড়েছেন কুমিল্লার সুমন (২৯)। জাগো নিউজকে মোবাইল ফোনে তিনি জানান, গ্রামের বাড়ি লাকশামে এসেছি স্বজনদের সাথে ঈদ করতে। ঈদ মানে আনন্দ আর এই ঈদের আনন্দটুকু ইন্টারনেট ফেসবুক বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারছি না। গ্রামের বাড়িতে আমার মতো সবাই ইন্টারনেট নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করেও একটা ছবি আপলোড করতে পারছি না।এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটারনাল কমিউনিকেশন তালাত কামাল জাগো নিউজকে বলেন, ঈদে এক সাথে প্রায় পঁচাত্তর থেকে আশি শতাংশ মানুষ গ্রামে চলে যায়। এসময় গ্রামাঞ্চলের নেটওয়ার্কে ব্যাপক চাপ পড়ে। যে কারণে শহরের তুলনায় গ্রামে ইন্টারনেট কিছুটা ধীরগতি দেখা যায়। তবে দু একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভিাবিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।আরএম/এসকেডি/পিআর
Advertisement