কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে এক খেয়াঘাটকে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ থেকে আলাদাভাবে ইজারা দেয়ায় দুই ইজারাদারের লোকজনের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে হাতাহাতি, মারামারি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বেলায়েত হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ১৪২০ সনের বৈশাখ মাস পর্যন্ত ২৫ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হয়।একই ঘাট জুন মাস থেকে মজিবর রহমান নামে অন্য আরেক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকায় ইজারা সম্পন্ন করে রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ। দুই ইজারাদার একই ঘাটে নৌকা নামিয়ে যাত্রী পারাপার করতে গিয়ে বাধে বিপত্তি।এ ব্যাপারে রাজিবপুর ইউনিয়নের নতুন চেয়ারম্যান কামরুল আলম বাদল অভিযোগ করে বলেন, ‘বিধি মেনে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বেলায়েত হোসেনকে খেয়াঘাট ইজারা দেয়া হয়।’ তার প্রতিপক্ষ গোলাম কিবরিয়া ইউপি নির্বাচনে হেরে গিয়ে তার চাচা বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল আলমকে দিয়ে পুনরায় ঘাট ইজারার নাটক করে তার ব্যবসায়িক পার্টনার মজিবর রহমানকে দেয়। শুনেছি শফিউল আলম নির্বাচনের সময় মজিবর রহমানের কাছে ৫ লাখ টাকা নিয়ে তার ভাতিজা গোলাম কিবরিয়াকে দেয়। সেই পাওনা টাকা পুষিয়ে দেয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ এই কাণ্ড ঘটায়। এ ব্যাপারে সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরে-ই-শাহীফুল জানান, ঘাটটি ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে, যা বিগত বছর থেকে চলে আসছে। আমার ইউনিয়ন পরিষদের ডাকে বেলায়েত হোসেনকে ইজারা দিয়েছি। কিন্তু বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম ক্ষমতার দাপটে আরেকজনকে ইজারা দিয়েছে। অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল আলম জানান, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ওই ঘাট আর ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে নেই। আমি কারও কাছ থেকে অর্থ নেইনি। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, খেয়াঘাটটি দুই ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত। তাই এটি আন্তঃইউনিয়ন খেয়াঘাট নামে পরিচিত। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ওই খেয়াঘাট উপজেলা পরিষদের অধীনেই পরিচালিত হবে।নাজমুল হোসেন/এসএস/পিআর
Advertisement