বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত শনিবার সন্ধ্যায় ইফতার অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় প্রেসক্লাবের দোতলায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক, হেড অব নিউজ ও সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাংবাদিক নেতাদের খোলামেলা আলোচনাকালে অনেকগুলো দাবি-দাওয়া পেশ করা হলেও ঘুরেফিরে মূলত চারটি দাবি- গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য পেনশন চালু, নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা, জাতীয় প্রেসক্লাবের বহুতল ভবন ও আবাসিক প্রকল্প নির্মাণ ও বাস্তবায়ন বিষয়টি প্রাধান্য পায়।আলোচনাকালে মিডিয়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধুমাত্র পেনশন চালু করার দাবিটির ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব দেখান। বাকি তিনটি দাবি পূরণের ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভুঁইয়া সাংবাদিকদের জন্য পেনশন চালু করা যায় কি-না তা বিবেচনার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে পেনশনের ব্যাপারে তার কিছুই করার নেই।এ সময় তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে তিন লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এত বিশাল অংকের বাজেটের কথা অতীতের কোনো সরকার কল্পনাও করতে পারেনি। জাতীয় বাজেটের মধ্যে বিশাল অংকের উন্নয়ন বাজেট অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। ফলে সরকারি উদ্যোগে বেসরকারি গণমাধ্যম খাতে পেনশন চালু করা সম্ভব হবে না বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা বাস্তবায়নের বিষয়টি সুবিবেচনার জন্য তিনি সভায় উপস্থিত তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনুকে ইঙ্গিত দেন। এর আগে ইফতার অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, যেসব সংবাদপত্রের মালিক রেটকার্ড সুবিধা পান তাদের অনেকের প্রতিষ্ঠানে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড পরিশোধ করা হয় না। ওই কথার সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা হলে সাংবাদিকরা কতটুকু পাবে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।জাতীয় প্রেসক্লাবের বহুতল ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, দৃষ্টিনন্দন প্রেসক্লাব নির্মাণের কথা তিনিই সাংবাদিক নেতাদের বলেছেন বলে জানান। দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করে দুই বছরের মধ্যে তা শেষ করার পরামর্শ দেন। তবে প্রেসক্লাবের বহুতল ভবন নির্মাণে শুধু তিনিই টাকা দেবেন না জানিয়ে বলেন, সংবাদপত্রের মালিকদেরকে এটি নির্মাণে টাকা দিতে হবে।আবাসন সমস্যার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাংবাদিকদের আবাসনের জন্য কোটা বরাদ্দ রেখে প্লট দেয়া হয়েছে। সাংবাদিক নেতাদের সরকারি খাস জমি খুঁজে বের করে দেখা করার পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু তারা আর পরে দেখা করেন না বলে পাল্টা অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সংসদ অধিবেশন চলাকালে সাংবাদিকদের অধিকাংশ যে অনুপস্থিত থাকেন সে তথ্য তার কাছে রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সাংবাদিকদের সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।এমইউ/বিএ/পিআর
Advertisement