প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে কয়েকটি পণ্যের স্থানীয় পর্যায়ে ও আমদানিতে শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও রেগুলেটরি ডিউটি বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে শুল্ক-কর বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে কিছু পণ্যের দাম বাড়বে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী। যেসব পণ্যের দাম বাড়বে : বাজেটে তৈরি পণ্যের আমদানি ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সিগারেট, ওয়াশিং মেশিন, আমদানিকৃত চা। সিগারেট : এবারের বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর ও সম্পূরক শুল্ক হার বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া সিগারেট পেপার ও উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে আগামীতে সিগারেটের দাম বাড়বে। সবচেয়ে বেশি দাম বাড়বে সস্তা দামের সিগারেটের। কারণ নিম্ন স্তরের সিগারেটের মূল্যস্তর ও সম্পূরক শুল্ক সবচে বেশি বাড়ানো হচ্ছে।ওয়াশিং মেশিন : এ পণ্যটির আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাই বাজেটের পর পণ্যটির দাম বাড়তে পারে।ট্রাভেল ব্যাগ : বিগত দিনে ট্রলি ব্যাগ, সুটকেস, ট্রাভেল ব্যাগ আমদানিতে সুনির্দিষ্ট এইচএস কোড ছিল না। এর ফলে এসব পণ্য আমদানি আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী বাজেটে এসব পণ্যের এইচএস কোড (৮৩.০২) নির্ধারণ করে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।চা : আমদানিকৃত চায়ের দাম বাড়তে পারে। কারণ বাজেটে প্রতি কেজি আমদানিকৃত চায়ের ট্যারিফ মূল্য দুই ডলার নির্ধারণ করে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে আমদানি করা চায়ের দাম বাড়তে পারে। যদিও চা উৎপাদনে দেশ স্বয়ং সম্পূর্ণ। তাই দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।চাল : চাল আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। ফলে সুগন্ধিযুক্ত চালের দাম বাড়তে পারে। দেশীয় কৃষকদের সুরক্ষায় এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।অপটিক ক্যাবল : দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেয়ার স্বার্থে ফাইবার অপটিক ক্যাবল আমদানির শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে পণ্যটির দাম বাড়বে।বই : বই আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়া দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক আমদানিতে শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এ কারণে বইয়ের দাম বাড়বে।মশার ব্যাট : মশা ও পোকামাকড় নিধনের কাজে ব্যবহৃত ব্যাট আমদানিতে এইচএস কোড সৃষ্টি করে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ কারণে পণ্যটির দাম বাড়বে।
Advertisement
অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্য পড়তে ক্লিক করুন...
এমএ/এএইচ/আরআইপি
Advertisement