নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে জট লেগেই আছে। ফলে শিক্ষার্থীদের সম্মান ও মাস্টার্স কোর্স পাস করতে ২৭-২৮ বছর বয়স হয়ে যায়। বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের চাকরির বয়স ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।প্রতিবছর নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষা না হওয়ায় অনেক ছাত্রছাত্রীই কাঙ্ক্ষিত প্রস্তুতি নিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে পারে না। ইতিমধ্যে সরকার চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৫৯ বছর নির্ধারণ করেছে। আদালতের বিচারপতিদের অবসরের বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৭ বছর। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের সম্মান ও মাস্টার্স কোর্স পাস করতে বয়স ৩০ বছরের কাছাকাছি চলে গেলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা এখন পর্যন্ত বাড়ানো হয়নি।সার্কভুক্ত দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০ বছর। ফলে সেখানে অনেকে চাইলে একটু বয়সকালেও সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারে। একটু পরিণত বয়সে মানুষ চাকরিতে প্রবেশ করলে তারা পরিপক্ক হতে পারে, সরকারকে ভালো সেবা দিতে পারে। সে কারণে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা যেতে পারে। আশা করি, সরকার বিষয়টি ভেবে দেখবে।লেখক: চাকরিপ্রত্যাশী, চট্টগ্রাম।এসইউ/এবিএস
Advertisement