উদ্যোক্তাদের জন্য কাজ করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ সম্প্রতি ইনভেস্টমেন্ট সামিট করেছে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা ও বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী সফলভাবে বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা উপস্থাপন করেছেন। আজকের এই প্রতিযোগিতা কেবল মুনাফা সর্বোচ্চকরণের লক্ষ্য নয়, বরং ন্যায় ও সামাজিক দায়বদ্ধতার ধারণাকে সামনে এনে নতুন ধরনের ক্যাপিটালিজম তুলে ধরছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ‘ফিউচার অব ক্যাপিটালিজম’ স্টার্টআপ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালেতে এসব কথা বলেন তিনি। প্রাভা হেলথ ও লিও লায়ন ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের এই যাত্রায় একজন চ্যাম্পিয়ন। আমি বিশ্বাস করি, এই প্রতিযোগিতা একদিকে তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করবে, অন্যদিকে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতেও ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন
জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নেমে আসবে: গভর্নর আলোর পথে মুক্তির আহ্বান জানাবে ছায়ানট৪৫০টিরও বেশি দল নিয়ে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় একাধিক ধাপে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের ব্যবসায়িক আইডিয়া, ফিজিবিলিটি অ্যানালাইসিস ও গো-টু-মার্কেট স্ট্র্যাটেজি উপস্থাপন করেন। কঠিন মূল্যায়নের পর চূড়ান্ত পর্বে সেরা ৮ দল জায়গা করে নেয়। ফাইনাল রাউন্ডে এসব দল নিজেদের উন্নত বিজনেস মডেল, আর্থিক পরিকল্পনা ও কৌশল উপস্থাপন করে।
প্রতিযোগিতার শেষে লিও লায়ন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের ফান্ড বিজয়ী তিন দলের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ অর্থ তারা নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যবহার করতে পারবে। যাচাই-বাছাই শেষে ফান্ড বিতরণ ছাড়াও বিজয়ীরা পাবেন মেন্টরশিপ, ইনকিউবেশন এবং ভবিষ্যত বিনিয়োগের সুযোগ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইবিএর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক প্রফেসর শাকিল হুদা, লিও লায়ন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ল্যারি সুলিভান, প্রাভা হেলথের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ও সিইও সিলভানা কিউ সিনা প্রমুখ।
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ‘ফিউচার অব ক্যাপিটালিজম’ এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যেখানে তরুণ উদ্যোক্তাদের সৃজনশীলতা ও দায়িত্বশীল ক্যাপিটালিজম ধারণাকে একত্রিত করে একটি টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্টরা।
কেএসআর/এমএস