দেশজুড়ে

আবারো পেছালো কিবরিয়া হত্যা মামলা

সাক্ষী না আসায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায়  সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আবারো পিছিয়েছে। ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জানান, বুধবার দুপুরে সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত তারিখে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছসহ আসামিদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু সাক্ষী না আসায় সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পরদিন বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করেন। তবে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর অসুস্থ থাকায় আদালতের অনুমতি নিয়ে স্বশরীরে হাজিরা থেকে অব্যাহতি নিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিয়ে আসছেন।আদালত সূত্র জানায়, বুধবার আরিফ ও গউছসহ মামলার ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্য মামলায় হাজিরা থাকায় কারাবন্দী বাকি আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়নি। তবে জামিনে থাকা ৮ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন।জানা গেছে, গত বছরের ১১ জুন হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে কিবরিয়া হত্যা মামলাটি পাঠানো হয়েছিল। ট্রাইব্যুনালে মামলাটি ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় নিয়মানুযায়ী ১৫ কর্মদিবস করে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়। সেই সময়ও শেষ হয় গত বছরের ৯ ডিসেম্বর।এ অবস্থায় মামলার কার্যক্রম সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে রাখতে গত ৬ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১১ মার্চ থেকে পুনরায় দ্রুত বিচার আদালতে বিচার শুরু হয় আলোচিত এ মামলার। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। এসময় আরো নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন।ছামির মাহমুদ/এফএ/এমএস

Advertisement