বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ফের কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে পুনরায় কিডনি প্রতিস্থাপন সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে কিডনি প্রতিস্থাপনে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। এর আগে চলতি বছরের ২৮ জুলাই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে সর্বশেষ ৩১তম কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছিল।
কিডনি প্রতিস্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নবনিযুক্ত পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রমের প্রধান ও ইউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশিদুল আলম, রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. তৌহিদ মো. সাইফুল ইসলাম দিপু, অতিরিক্ত পরিচালক ডা. মো. শহিদুল হাসান, উপাচার্যের একান্ত সচিব ডা. মো. রহুল কুদ্দুস বিপ্লব, সহকারী অধ্যাপক ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
- বছরে ৩০০০ রোগীর কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রয়োজন, করা যায় মাত্র ৩০০
দেশে দ্বিতীয়বারের মতো একজনের কিডনি দুজনের শরীরে
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩২তম কিডনি ট্রান্সপ্ল্যন্টের দাতা নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা ৫০ বছরের কোহিনুর। ঢাকার ৪৮ বছর বয়স্ক সাহারাকে তিনি কিডনি দান করেছেন। কোহিনুর হচ্ছেন সাহারার ফুফু।
বিএসএমএমইউ জানায়, সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এই প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয় দুপুর ৩টায়। বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনের সামগ্রিক ব্যয় ৩ লাখ টাকা। প্রতিবেশী দেশে গিয়ে এই কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হলে ব্যয় হতে পারে ন্যূনতম ২৫ লাখ টাকা।
এ সময় বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেছেন, দেশেই বিশেষ করে বিএসএমএমইউতে অল্প ব্যয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনের উন্নত সেবার সুযোগ সুবিধা রয়েছে, অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
কিডনি দাতার সার্জিক্যাল দলে ছিলেন— অধ্যাপক ডা. তৌহিদ মো. সাইফুল ইসলাম দিপু, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক ডা. আকতার কামাল পারভজ, ডা. মো. সুলতান উদ্দিন।
কিডনি গ্রহীতার সার্জিকাল দলের দায়িত্বে ছিলেন— অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশিদুল আলম, সহকারী অধ্যাপক ডা, মো. রফিকুল ইসলাম, ডা. মাহবুবুল ইসলাম খন্দকার, ডা. শেখ ইমরান মোহাম্মদ, ডা. মাশরুরা রহমান বর্ষা। পারফিউশন দলে ছিলেন— ডা. মামুন উর রশিদ আল মামুন, ডা. মো. আশরাফুর রহমান।
এএএম/এমআরএম