স্বাস্থ্যসেবায় বাজেট বাড়াতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৫ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বাজেট বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্যসেবাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে হবে অগ্রাধিকারমূলক খাত হিসেবে। রোগকেন্দ্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা থেকে সরে এসে গড়ে তুলতে হবে নাগরিককেন্দ্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে ‘রিফর্ম পাথওয়েজ ফর হেলথ সেক্টর’ শীর্ষক নীতিনির্ধারণী সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ (ইউএইচসি) ফোরাম ও ব্র্যাক যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে। আলোচনায় নীতিনির্ধারক, স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজ, উন্নয়ন সহযোগী ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা দেশের স্বাস্থ্যখাতের বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন করেন এবং বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার পরিকল্পনাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

ইউএইচসি ফোরামের আহ্বায়ক এবং ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান সংলাপে অংশ নিয়ে বলেন, স্বাস্থ্যসেবাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে অগ্রাধিকারমূলক খাত হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে সেবাগ্রহণে প্রবেশাধিকার, সেবাপ্রদানের গুণগত মান, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ এবং রোগ প্রতিরোধমূলক প্রচার ও প্রসার। রোগীকেন্দ্রিক মানসম্মত সেবাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং একই সঙ্গে স্বাস্থ্যখাতে অর্থায়ন, মানবসম্পদ এবং সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যখাত শক্তিশালী করতে হবে।

আরও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিক্সের অধ্যাপক ও স্বাস্থ্য সংস্কার জোটের আহ্বায়ক ড. সৈয়দ এ. হামিদ বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে ভর্তুকি ছাড়াও প্রিমিয়াম সংগ্রহের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। একই সঙ্গে সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনার সংস্কার এবং অর্থ বরাদ্দের নিয়মে পরিবর্তন আনতে হবে।

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, মানুষ স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে একটি পরিষ্কার পথনির্দেশনা আশা করছে, যেখানে লিঙ্গ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমতা নিশ্চিত হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার কাঠামো ও সেবাপদ্ধতির সংস্কার এবং সমন্বয় অপরিহার্য। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বাজেট বাড়াতে হবে।

স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. নায়লা জেড খান বলেন, আমাদের রোগকেন্দ্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা থেকে সরে এসে নাগরিককেন্দ্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে, যেখানে মানুষের শক্তিগুলোকে মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে, দুর্বলতাগুলো নয়।

সংলাপে আরও বক্তব্য দেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ব্র্যাকের স্বাস্থ্য কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী।

এএএম/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।