স্বাস্থ্য বাজেটের ৩০ শতাংশ হোমিও খাতে বরাদ্দের দাবি
স্বাস্থ্যখাতের মোট বাজেটের ৩০ শতাংশ হোমিও খাতে বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ হোমিও বোর্ড চেয়ারম্যান ও স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়। একই সঙ্গে বার্ষিক অনুদান ২০ কোটি টাকা রাখারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার ৩০ ভাগ হোমিও পদ্ধতিতে চিকিৎসা সেবা নিলেও এ খাতে বরাদ্দ মাত্র ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা; যা জাতীয় স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র দশমিক ০৭ ভাগ। এ চিকিৎসা পদ্ধতিতে নিরাপদ ও স্বল্প ব্যয়ে ক্যানসার, হৃদরোগ, প্যারালাইজড ও টিউমারসহ জটিল অনেক রোগ নিরাময় হচ্ছে। বরাদ্দ বাড়ানো হলে আরো বেশি লোকের সেবা দেয়া সম্ভব হবে।
চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ রাখা হচ্ছে না- এমন অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় স্বাস্থ্য বাজেটে মোট বরাদ্দ ১২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা হলেও হোমিওপ্যাথি খাতে মোট বরাদ্দ মাত্র ৯ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা; যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য ও অপ্রতুল। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের অনুকূলে মাত্র তিন কোটি ছত্রিশ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয় পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের পক্ষে ১৬ দফা দাবিও তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে। উল্লেখযোগ্য দাবির মধ্যে রয়েছে- হোমিও শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে জাতীয় স্বাস্থ্য বাজেটের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের নিয়মিত বার্ষিক অনুদান কমপক্ষে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ, জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের পরিধি বাড়াতে সরকারি হাসপাতাল, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে বিএইচএমএস (ডিগ্রি) ও ডিএইচএমএস (ডিপ্লোমা) হোমিও চিকিৎসকদের নিয়োগ করা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বোর্ড সদস্য ডা. খন্দকার আনিছুল হক, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বোর্ড সদস্য ডা. কামারুজ্জামান ভুইঞা, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এস. এ. এম রেজা-উর রহিম প্রমুখ।
এমইউ/এনএফ/এবিএস