স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করে ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩১ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠা করা এবং সব সরকারি হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির পদে নিয়োগের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করে আন্দোলন করেছেন ফিজিওথেরাপির শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নেন সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদের (সফিশিপ) শিক্ষার্থীরা। সরকারি-বেসরকারি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীরা এ সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন করেন।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফটক বন্ধ করে দেন। এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কেউ ঢুকতে পারেননি, বেরও হতে পারেননি।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, সরকার ১৯৭৩ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধীনে ৫ বছরের ফিজিওথেরাপি কোর্স চালু করলেও তাদের জন্য কোনো ধরনের ক্যারিয়ার প্ল্যান করা হয়নি। ২০০৯ সালে স্বতন্ত্র কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হিসেবে ঢাকার মহাখালীতে জায়গা নির্ধারণ করা হয়। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে ওই উদ্যোগ আটকে যায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবরুদ্ধ করে ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

তাদের দাবি, সরকারি চাকরিতে বিএসসি উত্তীর্ণ ফিজিওথেরাপিস্টদের জন্য সরাসরি কোনো পদ নেই, তাই নিয়োগের কোনো সুযোগও নেই। এসব কারণেই তারা আন্দোলন করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, তারা না বুঝেই আমাদের এখানে এসে আন্দোলন করছে। তাদের যে দাবি, সেটা পূরণের জন্য যেতে হবে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরে। কিন্তু তারা এখানে এসেছে। আমাদের এখানে যে দাবিটা ছিল খালি পদের জন্য। সেটা নিয়ে আমরা কথা বলছি। ছোট ছোট পোলাপান, তারা হয়তো বোঝেও না কিছু।

ঢাকা ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী বজলুল হক বলেন, এসব দাবি পূরণের জন্য প্রায় দুই মাস আগে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসেছিলেন। তখন তাদের দাবির বিষয়টি দেখার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর আলাদা কমিটি করে দেওয়া হয়। কিন্তু কমিটির কাজের কোনো অগ্রগতি নেই।

এএএম/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।