ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২০০ ছুঁইছুঁই, ৪০ হাজার ছাড়ালো ভর্তি রোগী
এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৮৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৪০৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন তিন ডেঙ্গুরোগী। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৯ জনে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৫৮৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ঢাকায়, একজন বরিশালে ও একজন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২৪৬ জন রয়েছেন। এছাড়াও ঢাকা বিভাগে ১৬৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২ জন, বরিশাল বিভাগে ৬২ জন, খুলনা বিভাগে ২৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৭ জন এবং রংপুর বিভাগে ৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
- আরও পড়ুন
ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু, বাড়ছে শিশু মৃত্যুহার
ডেঙ্গু টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় বড় বাধা ‘অর্থ সংকট’
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৪০ হাজার ৪০৫ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৩০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ১৯৯ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৩০ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৯ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। যার মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
গত বছর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ ডেঙ্গুরোগী। এছাড়া ডেঙ্গুতে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন। যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে ডেঙ্গু রোগে সর্বাধিক মৃত্যু।
২০১৯ সালে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং মারা যান প্রায় ৩০০ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কম ছিল। পরের বছর ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন এবং ১০৫ জন মারা যান। ২০২২ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যার মধ্যে ২৮১ জন মারা যান।
এএএম/কেএসআর/জেআইএম