চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৮৬ জন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৬ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৪
ফাইল ছবি

চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৮৬ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।

সোমবার (৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জানান, গত বছর একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯০০-এর বেশি মানুষ মারা যান।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৮৬ জন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আমাদের সব জায়গায় হাসপাতালগুলোকে অ্যালার্ট (সতর্ক) করে দেওয়া আছে যাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো যায়। এ বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে ডেঙ্গুজ্বরে ১৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতবছর এ সময়ে ডেঙ্গুজ্বরে ৯৮৭ জনের মৃত্যু হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের নিহত (মারা যাওয়া) কম আছে।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সকলকে সচেতন করতে। বিভিন্ন জায়গায় সবার সঙ্গে কথা বলছি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

হাসপাতালগুলোতে নানা রকমের অবৈধ কাজ করে এরকম অনেক লোক রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোর ভেতর থেকে নানা অভিযোগ আছে। এরমধ্যে একটি হলো- একটি গোষ্ঠী নানান অবৈধ কাজ করে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। ওষুধ বিক্রির অভিযোগ ছিল, সেগুলো যাতে না করে সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেলের ওপর চাপ কমাতে চেষ্টা করছি কুর্মিটোলা হাসপাতালের ব্যবহার বাড়ানোর। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের আরও বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়া, নার্সদের আচারণগত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা। এই কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের গত কয়েক মাস বেতন হচ্ছে না। তাদের বেতন দেওয়ার জন্য যে প্রস্তাব ছিল সেটা পাস না হওয়ায় তারা তিন মাস বেতন পাচ্ছে না। আমি আগামী কেবিনেটে সেটা নিয়ে যাবো। যাতে তাদের বেতনের ব্যবস্থা করা যায়। আমাদের নানাবিধ সমস্যা আছে সেগুলো ধীরে ধীরে সমাধানে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন করে ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও কোথায়ও তিনজন আবার কোথাও চারজন রয়েছেন। আবার চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই। এরকম নানা সমস্যা আছে। ধীরে ধীরে আমাদের সমাধান করতে হবে।

নুরজাহান বেগম বলেন, আমাদের অনেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকায় নতুন করে আমি আর হাসপাতালের অনুমোদন দেবো না। পুরোনো যেগুলো আছে সেগুলোর সমস্যা আগে সমাধান করবো।

এ মুহূর্তে ওষুধের দাম কমাতে না পারার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৃথিবীর সব জায়গায় ওষুধের নাম হয় জেনেটিক নামে। কিন্তু আমাদের এখানে সেটা হয় না। সেটা এই মুহূর্তে করতে গেলে সমস্যা হবে। আমাদের যেসব ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি আছে তারা এ বিষয়টাকে সহজভাবে নিচ্ছে না। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, সেখানে যদি এই মুহূর্তে এটা করতে যাই তাহলে একটা সমস্যা হবে। সে জন্য আমি কোনো সমস্যার মধ্যে যেতে চাই না। যদি আমরা সময় পাই তাহলে দেখা যাবে।

এমএএস/বিএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।