যোগদানের আগেই পদোন্নতি বাতিল স্বাচিপ নেতার
আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. আবু ফয়সাল মো. আরিফুল ইসলাম নবীনের পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন বাতিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির পর তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ অবস্থায় তার পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হলো।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে পূর্বের জারি করা সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। এর আগে বুধবার পদোন্নতির প্রজ্ঞাপনও সই করেছিলেন তিনি।
নতুন প্রজ্ঞাপনে লেখা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-১ শাখার গত ২৫ সেপ্টেম্বরের ৮৫.০০.০০০০.১৪৭.১২.০২৩.২৩.৫৪২ নম্বর স্মারকে জারিকৃত পদোন্নতি ও পদায়ন আদেশটি এতদ্বারা নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।
এর আগে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণালয়াধীন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে কর্মরত ডা. আবু ফয়সাল মো. আরিফুল ইসলাম নবীনকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর ৪র্থ গ্রেডে ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা বেতনক্রমে সহযোগী অধ্যাপক (প্লাস্টিক সার্জারি) পদে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে বদলি/পদায়ন করা হলো।
ওই প্রজ্ঞাপনে আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে বর্ণিত কমস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছিল তাকে।
ডা. আবু ফয়সাল মো. আরিফুল ইসলাম নবীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদে সংযুক্তিতে রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) ৪র্থ ব্যাচের (১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষ) এই শিক্ষার্থী শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
পরে ডা. নবীন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ২০১৭-১৮ সেশনে দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরে ২০২২ সেশনের কমিটিতে যুগ্ম মহাসচিব পদে প্রার্থিতাও করেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধেও তিনি সোচ্চার ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০০৫ সালে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৬ সালে চাকরিতে যোগ দেন।
এএএম/এমআইএইচএস/জিকেএস