১০ দিন ধরে অচল সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনে ১০ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ। গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, কলেজ প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছর হলেও এখন পর্যন্ত নিজস্ব কাউন্সিল গঠন হয় নি। ১৯৯৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক প্রজ্ঞাপনে আদেশ দেয়, বিএমডিসির আদলে বিএএমএস, বিইউএমএস ডাক্তারদের জন্য আরেকটি পৃথক কাউন্সিল গঠনের। কিন্তু ২৮ বছর অতিবাহিত হলেও তা আজও গঠিত হয়নি।

অবিলম্বে বৈষম্য দূরীকরণ ও সিস্টেম সংস্কারের জন্য শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি:

১। বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন প্রণয়ন ও কাউন্সিল গঠন।
২। দ্রুত সময়ে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের সরকারি চাকরির নিয়োগ বিধি প্রণয়ন এবং পিএসসির ক্যাডারভুক্ত করণের মাধ্যমে নিয়মিত নিয়োগ প্রদান।
৩। ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ব্যবস্থাকরণ।
৪।স্বৈরাচারের দোসর, দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার।
৫। ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক মানোন্নয়ন।।
৬। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধিকরণ।।
৭। সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সংস্কারকরণ।

বিএইচএমএস চিকিৎসকদের জন্য হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা ও চিকিৎসা আইন ২০২৩ সালে পাশ হলেও আবারও বৈষম্যের শিকার হয় তারা।এছাড়াও পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ না থাকা, বিসিএসে ক্যাডারভুক্ত না হওয়া, পোস্ট গ্রাজুয়েশন সুযোগ না থাকা, হাসপাতালের মান উন্নয়ন সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত সম্ভাবনাময় এই সেক্টর।এই সমস্যাগুলো নিরসনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস,পরীক্ষা, হাসপাতাল সহ পুরো ক্যাম্পাস শাট ডাউনের ঘোষণা দেয়।

এসময় শত শত রোগী হাসপাতালের বাইরে ভিড় জমায় চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। এখানে আকুপাংচার, আকুপ্রেসার,পঞ্চকর্ম সহ আরও ২৫ টি থেরাপি প্রদান করা হয়। হাসপাতাল বন্ধ থাকায় রোগীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এএএম/এসআইটি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।