অ্যাডহক ও প্রকল্পের চিকিৎসকদের এনক্যাডারমেন্ট বাতিলসহ ৬ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে (২০১০-২০১১ সাল) চুক্তিভিত্তিক অ্যাডহক (অস্থায়ী) ও বিভিন্ন সময়ে চুক্তিভিত্তিক (প্রকল্প) অবৈধভাবে পাওয়া এনক্যাডারমেন্ট বাতিলসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ক্যাডারে কর্মরত চিকিৎসকরা

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।

এসময় চিকিৎসকরা বলেন, আমরা যারা মেধার ভিত্তিতে পাস করে এসেছি আমাদের পদোন্নতির খবর নেই। অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের স্থায়ীকরণ আর পদোন্নতির ব্যবস্থা চলছে। আমরা ভাবতেও পারিনি। এই সরকারের আমলেও আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। আমরা জানলেতো এত কষ্ট করে বিসিএস পাস করতাম না। তাদের মতই অবৈধভাবে নিয়োগ নিতে পারতাম।

তারা বলেন, অবৈধভাবে যদি স্থায়ীকরণ করা হয় এবং ৪২ বিসিএসের পর সিনিয়রিটি না আসে সব চেইন অব কমান্ড নষ্ট হয়ে যাবে। এসব এডহকের অধীনে প্রায় ১০০ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চতুর্থ গ্রেডের কর্মকর্তারাও চাকরি করে।

অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. উম্মে তানিয়া বলেন, আজ আমরা ক্ষুব্ধ। ২০১০-১১ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দলীয় ডাক্তার নিয়োগ করে। তখনকার বিসিএসের কার্যক্রম চলমান থাকলেও বিসিএস পাস ডাক্তারদের ননক্যাডার বানিয়ে দলীয় ক্যাডারদের টাকা পয়সার বিনিময়ে পুনর্বাসন করে। তারা কীভাবে এই সরকারের আমলে স্থায়ীকরণ পায়? নিয়োগের নিয়মের ব্যত্যয় করে অবৈধ নিয়োগের দিন থেকেই তারা সিনিয়রিটি পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, একজন ক্যাডার অফিসার নিজেকে যোগ্য করে তোলার জন্য সরকারি বিধি নিয়মের প্রত্যেক ক্যাডারে ফাউন্ডেশন ট্রেনিং, ডিপার্টমেন্টাল এক্সাম আর চাকরির সময়সীমা আছে, তার পরে স্থায়ী হবে। কিন্তু এসব প্রক্রিয়ায় না গিয়েই তারা এনক্যাডার হয়েছে। আগের সরকারের প্রেতাত্মারা কাজ করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীন হয়নি। বিগত সৈরাচারের কর্মকর্তারা কলকাঠি নাড়ছে।

মানববন্ধনে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ডা. তৌফিক আহমেদ বলেন, ২০১০-১১ সালে বিসিএসকে বাইপাস করে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে আড়াই হাজার কর্মকর্তাকে ২০২২ সালে এনক্যাডার করা হয়। কিন্তু তাদের আবশ্যিক শর্ত পূরণ না করেই এনক্যাডার হয়েছে। এর আগেই ২০১৬ সালে তারা পদোন্নতি পেয়েছে। এটা কীভাবে তারা পেতে পারে? উপরন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিগত সময়ের অন্যায়গুলোকে প্রমার্জনার গেজেট জারি করতে যাচ্ছে।

আরেক সদস্য বলেন ডা. আপেল আনোয়ার বলেন, প্রায় শত কোটি টাকার বিনিময়ে তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাদের অবৈধ সুপারিশের মাধ্যমে বিসিএস ক্যাডার বানানোর জন্য উদ্ধত হয়েছে।

ছয় দাবি
১. ১০-১১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত সাবেক অ্যাডহকদের অবৈধ স্থায়ীকরণ বাতিল করতে হবে।

২. তাদের এনক্যাডারমেন্ট বাতিল করতে হবে।

৩. তাদের পদোন্নতি বাতিল করতে হবে।

৪. অবৈধ পদায়ন বাতিল করতে হবে।

৫. অবৈধ প্রমার্জনা বাতিল করতে হবে।

৬. বিগত সরকারের অন্যায়গুলো বর্তমান সরকার দ্রুততার সাথে পাশ করে যাচ্ছে। আমরা কোনোভাবেই এই অন্যায় মানব না।

এএএম/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।