নার্সিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মাকসুরা নূরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে নার্সিং সংস্কার পরিষদ।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে তারা এ বিক্ষোভ মিছিল করেন। নার্স পেশা নিয়ে কটূক্তি করায় ডিজির পদত্যাগ দাবি করেন তারা। এই কর্মসূচিতে সমন্বয়ক মো. সাব্বির মাহমুদ তিহানের অধীনে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নার্সিং সংস্কার পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ডা. শরিফুল ইসলাম, নার্সিং কলেজের ছাত্র সমন্বয়ক মহিবুল্লাহসহ ঢামেক হাসপাতালের নার্সিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

নার্সিং শিক্ষার্থীরা জানায়, নার্সিং অধিদপ্তরের প্রশাসনিক পদগুলোতে উচ্চশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ নার্সদের নিয়োগ দিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে নার্সরা প্রশাসনিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন, যার বিরুদ্ধে এবার তারা কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামীকাল ১৫ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

আন্দোলনরত নার্সদের দাবি, দেশের স্বাস্থ্য খাতে সংকটের সময় যেমন করোনা মহামারি, ডেঙ্গু এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য জরুরিতে তারা ফ্রন্টলাইনে থেকে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন। কিন্তু তবুও তাদের পেশাগত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। বরং প্রশাসনিক পদে তাদের বাদ দিয়ে অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ায় নার্সদের পেশাগত উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ আরও তীব্র হয় যখন গত ১২ সেপ্টেম্বর একজন নন-নার্স প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে নার্সিং অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। নার্সদের অভিযোগ, এই ধরনের পদক্ষেপ তাদের দক্ষতাকে অবমূল্যায়িত করছে। নার্সরা মনে করেন, প্রশাসনিক পদে তাদের নিজস্ব পেশাজীবীদের নিয়োগের মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান সম্ভব, যা তাদের পেশাগত উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সহায়তা করবে।

উল্লেখ্য, ৮ সেপ্টেম্বর নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মাকসুরা নূর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার ভিত্তিতে নার্সদের ২য় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ বলে আখ্যা দেন। তার এই মন্তব্য নার্সদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়।এর প্রতিক্রিয়ায় ৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নার্সরা বিক্ষোভ শুরু করেন এবং মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবি জানান।

কাজী আল আমিন/এসআইটি/এমএস