ঢামেকে হামলা
দোষীদের গ্রেফতারে দুদিন সময় চাইলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় চার দফা দাবিতে সারাদেশে সব ধরনের চিকিৎসাকেন্দ্রে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে হামলাকারী ও দোষীদের গ্রেফতারে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাছে দুদিন সময় চেয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের সভাকক্ষে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। সেখানে তিনি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাছে দুদিন সময় চান। এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান, ঢামেক চিকিৎসকরাসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে এখনই আলাপ করবো। আমাকে দুদিন সময় দাও, যেন ব্যবস্থা নিতে পারি। এছাড়া অন্য দাবিগুলো নিয়ে আমরা কী করতে পারি তা আলোচনা করবো।
- আরও পড়ুন
- ৪ দফা দাবিতে সারাদেশে চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
- আমার ডাক্তার ভাইদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, হাসপাতালে হামলার সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্লাটুন থাকার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা চাই। এখন যারা হাসপাতালে সেবা দেবেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন সংস্থা বা ব্যক্তি আমাদের নিরাপত্তার জন্য দায়িত্বে থাকবে, যাদের কাছে আমরা যাবো।
চিকিৎসকরা দাবি করেন, ইমারজেন্সি বিভাগে যতজন চিকিৎসক থাকবেন পাশে সেনাবাহিনীর সদস্য থাকতে হবে। অন্যান্য স্বাস্থ্য পুলিশ ও স্বাস্থ্য আইন নিয়েও আপডেট চান আন্দোলনকারীরা।
ঢামেক পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশের ১ প্লাটুন, বিজিবির ২ প্লাটুন ও সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে হাসপাতালে থাকবে। সেনাবাহিনী হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।
তিনি বলেন, আমি ব্যর্থ হতে চাই না। আমরা চেষ্টা করছি সর্বোচ্চটা দিয়ে।
আরও পড়ুন
- ঢামেকে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজনরা
- ঢামেকে ৩ চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
আন্দোলনকারীরা বলেন, এর আগেও দাবি পূরণ হবে বলে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা হয়নি। এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা কোনো পলিটিক্যাল সরকার না। ওয়েট অ্যান্ড সি।
গতকাল শনিবার দিনগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনা ঘটে। হামলার বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে রোববার সকাল থেকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন চিকিৎসকেরা। এরপর চিকিৎসকেরা সারাদেশে সব ধরনের চিকিৎসাকেন্দ্রে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেন।
এএএম/এমকেআর/জিকেএস