স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির ব্যাপারে কোনো আপস নয়: সিনিয়র সচিব
স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির ব্যাপারে কোনো আপস করা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সিনিয়র সচিব।
স্বাস্থ্যখাতের অনেক দুর্নীতির কথা শোনা যায়। এ বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কি হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির ব্যাপারে আমরা কোনো আপস করবো না। তবে, এ কথা বলে যতগুলো সরকার এসেছে সবাই আপস করেছে। দুর্নীতি যেমন দমনের জন্য পৃথক আইন আছে। আইনানুযায়ী মামলা হলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। কিন্তু আমরা আদালতে হস্তক্ষেপ করবো না। যদি মনে হয় আইনানুযায়ী চলছে না; তাহলে সর্বোচ্চ দাপ্তরিক এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে যা করা দরকার সেটা করবো।’
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এত ভিআইপি হাজতে আছে। আমরা যে তাদের ছেড়ে দেবো সে স্কোপ নেই। স্বাস্থ্য সেক্টরেও দুর্নীতির জন্য মামলা হয়েছে। জেল হয়েছে। আরও হবে। আমরা বিচারকাজে ইন্টারফেয়ার করার নীতিতে বিশ্বাসী না। টেলিফোনে জামিন নেওয়াতেও আমরা বিশ্বাসী না। যে কোনো মামলা চলমান তা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। সেসব জায়গায় আমরা হস্তক্ষেপ করবো না। প্রচলিত আইনানুযায়ী বিচার হবে।’
স্বাস্থ্যের ডিজি ও বিএসএমএমইউ উপাচার্য নিয়ে যা বললেন সচিব
নিয়োগ দেওয়া হলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এখনো যোগ দিতে পারছেন না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক আমার আগে জয়েন করেছেন। তার যোগদানপত্র গ্রহণ করে এনডোর্স করা হয়েছে। এরপরও তিনি যদি কর্মস্থলে যোগদান না করতে পারেন তাহলে তিনি এবং আপনারা পরামর্শ দেবেন। একটা অ্যাস্টাবলিশমেন্ট সেটেল করতে দেন। ডিজি যদি কাজ না পারেন বা অদক্ষ হন তাহলে আমরা তাকে বদলিয়ে দেবো। তাকে বসতে দেওয়ার আগে তো এসব কথা বলার সময় আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, আমি প্রশাসনে ছিলাম। আমি জানি একজনকে পিঠে হাত নাকি টিয়ার গ্যাস দিয়ে ঠিক করতে হবে। মন্ত্রণালয় থেকে ডিজির অ্যান্ড্রোসমেন্ট হয়েছে গতকাল। উনি আজকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, কালকে যাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং তৃতীয় দিনে যাওয়ার চেষ্টা করলে এবং সাংবাদিক, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের সহায়তা নিয়ে যোগদান করতে ব্যর্থ হলে তাকে আমরা ফিজিক্যালি আর্মি পাহারায় সেখানে রাখতে পারবো না।
এ ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাকে কোনো রাজনৈতিক গ্রুপ চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না। আমাকে চাপ সৃষ্টি করতে পারবে সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। ডিজি সাহেব যোগদান করবেন কিনা এটা ভোটাভুটির বিষয় না। কারণ ডিজি অফিসে যতগুলো লোক আছে তার দশগুণ লোক আছে মাঠে। তিনি তো নির্বাচিত না। যদি ভোটাভুটি হয় তাহলে সারা বাংলাদেশ দুই ভাগ হলেও বেশিরভাগ লোক তাকেই চাইবে।’
বিএসএমএমইউতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে অস্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছি। এটা করতে অনেক সময় লেগেছে। কারণ পুরো স্টাকচার ভেঙে গিয়েছে। আমি যখন তার বিষয় প্রস্তাব দিই তখন আমার চাকরির বয়স চার ঘণ্টা। আজকে চতুর্থ দিনে তিনি জয়েন করেছেন। তাকে যদি কর্মস্থলে ঢুকতে না দেয় তাহলে তিনিই বলবেন তিনি কি চান।
আরএমএম/এমএএইচ/এমএস