মেধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে চিকিৎসকদের পদায়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৬ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৪

গত ১৫ বছর ধরে যেসব চিকিৎসক বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন জ্যেষ্ঠতা ও মেধার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)। অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এনডিএফের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতারা বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এনডিএফের পরিচিতি এবং সামগ্রিক কার্যক্রম তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সাক্ষাৎকালে দীর্ঘ ১৫ বছরে যেসব চিকিৎসক নানাভাবে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের সিনিয়রিটি ও মেধাভিত্তিক যথাস্থানে পদায়নের জন্য উপদেষ্টার কাছে আবেদন করা হয়েছে।

এনডিএফ সভাপতি বলেন, সাক্ষাৎকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেছেন, এই একটি দলকে পাওয়া গেল যারা মন্ত্রণালয়ের কাজকে সহযোগিতা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। তিনি আমাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন এবং সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।

জানা গেছে, উপদেষ্টার সঙ্গে এনডিএফের সাক্ষাতের সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক রোবেদ আমিন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে একজন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. মো. নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আহত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া, অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়া, কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনে সহায়তা দেওয়াসহ নানা ভূমিকা রেখেছে এনডিএফ। এছাড়া শহীদ ডা. সজীব সরকারের কবর জিয়ারতসহ আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া ও ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে ৬০০ ব্যাগ রক্তদান পরিচালনা করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মো. মাহমুদ হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ঢাকা মেডিকেলে পাঁচ হাজারের ওপর আহত ব্যক্তির চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওই ক্রান্তিকালের এক পর্যায়ে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল যে ক্রস ম্যাচিং ছাড়াও রক্ত দিতে হয়েছে আহতদের।

ডাক্তার পদবী অপব্যবহার এবং প্রেসক্রিপশন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবাইতো আমাদের প্রতিষ্ঠানে আসতে পারবেন না। যে যেখানে, সেখানকার সামাজিক পরিচয় দিতে পারেন। কিন্তু অফিশিয়ালভাবে ডাক্তার পরিচয় দেওয়া নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দেওয়া উচিত নয়। তবে প্রেসক্রিপশন নেওয়ার মতো এক্সেস প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সবার আছে কি না?

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাজেদ আব্দুল খালেক, ফিমেল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট ও যুগ্ম সম্পাদক ড. শাহাদাত হোসেনসহ আরও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এএএম/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।