স্বাস্থ্য খাতে অ্যাডহক নিয়োগ ও এনক্যাডারমেন্ট বাতিলের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৯ পিএম, ১০ জুলাই ২০২৪

স্বাস্থ্য ক্যাডারের বিভিন্ন পদে লঙ্ঘন ঘটিয়ে নিয়োগ পাওয়া অ্যাডহক ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পদায়ন ও পদোন্নতি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন। এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা আদালতের আদেশ অমান্য করে এ কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে অ্যাডহক নিয়োগ ও এনক্যাডারমেন্ট বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের আহ্বায়ক ডা. মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা দেশের বিদ্যমান আইনের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। দেশের প্রত্যন্ত ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র পর্যন্ত পদায়ন হওয়া এই ক্যাডারের প্রায় ৩৫ হাজার কর্মকর্তা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মূল মেরুদণ্ড। ক্যাডার সার্ভিস গঠন হওয়ার পর থেকে বিগত প্রায় ৪০ বছর ধরে আমরা দেশের মানুষকে নিরবচ্ছিন্নভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছি। কিন্তু, বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারি চাকরি বিধির গুরুতর লঙ্ঘন করে ক্যাডার পদগুলোতে ভিন্ন নিয়োগবিধির আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাডহক ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পদায়ন ও পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তারা একাজ করছে যা অত্যন্ত উদ্বেগের।

অনিয়মের অভিযোগ করে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত হাজার খানেক ভুয়া পদোন্নতি, জনপ্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে প্রায় ৫ শতাধিক ভুয়া পদায়ন এবং ক্যাডার কর্মকর্তাকে অ্য্যাডহকদের অধীনস্ত করা হয়েছে। এর ফলে আমরা সুপ্রিম কোর্টে ২০২২ সালে মামলা দাখিল করতে বাধ্য হই। মামলায় রুল জারি করা থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের চিহ্নিত অনিয়মকারী শাখার কর্মকর্তারা অ্যাডহক ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পক্ষে অবৈধ ও বিধিবহিভূত পদোন্নতি ও পদায়নের আদেশ জারি করে।

এসব অনিয়মের মধ্যেই বিগত ২০২৩ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পরপর পাঠানো মোট ৩টি পত্র আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এতে আমরা হতবাক ও বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়কে পাঠানো পত্রে এরই মধ্যে দেওয়া বিতর্কিত পদোন্নতিগুলোকে অবৈধ বলে স্বীকার করে নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব পত্রে তাদেরই করা অনিয়ম স্বীকার করে নেওয়া নজীরবিহীন।

যেকোনো ধরনের সরকারি চাকরীজীবীদের জন্য এভাবে এতগুলো প্রমার্জনার ফাইল সৃষ্টি হওয়া নজীরবিহীন এবং এ ধরনের ন্যাক্কারজনক অনিয়মের ঘটনা বাংলাদেশের প্রশাসন জগতের ইতিহাসে এই প্রথম। এসব কর্মকর্তা সকলেই বিসিএস এ ফেল করেছিলেন।

এ অবস্থায় সব ধরনের অবৈধ পদোন্নতি ও পদায়ন বাতিল করে চলমান প্রমার্জনার সকল প্রক্রিয়া স্থায়ীভাবে বাতিল ঘোষণা করে এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন।

এএএম/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।