স্বাস্থ্য তথ্য ও পরামর্শ ছড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকায় সোশ্যাল মিডিয়া

প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশিত: ০৮:৪২ এএম, ২৯ মে ২০২৪

স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও পরামর্শ সবার কাছে পৌঁছাতে সোশ্যাল মিডিয়া অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। স্বাস্থ্য সচেতনতায় সরকারের সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনার পর মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর। সভাপতিত্ব করেন লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড প্রমোশনের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মিজানুর রহমান আরিফ।

গত ১ ফেব্রুয়ারি চারমাস মেয়াদি এই কার্যক্রম হাতে নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড প্রমোশন ও স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো। কার্যক্রমটির কারিগরি সহায়তায় ছিল বর্ণমালা কমিউনিকেশন লিমিটেড।

পডকাস্ট, লাইভ অনুষ্ঠান, ওভিসি, ইনফ্লুয়েন্সার ক্যাম্পেইন, গ্রাফিক্যাল অ্যানিমেশন, স্ট্যাটিক কার্ডসহ মোট ৮টি সেগমেন্টের ৫০০টির বেশি কনটেন্টের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়। অংশ নেন দেশসেরা চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। চার মাসে ফেসবুক ও ইউটিউবে সবমিলিয়ে রিচ ও ইমপ্রেশন ১২ কোটির বেশি। সমাপনী অনুষ্ঠানে কার্যক্রমটির সফলতার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম আরও জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় যেকোনো তথ্য ও পরামর্শ দ্রুত ছড়ায়। তবে ভুল তথ্যের আশঙ্কাও বেশি। আশা করি, কার্যক্রমটির মাধ্যমে জনগণ স্বাস্থ্য বিষয়ে সঠিক তথ্য ও পরামর্শ পেয়েছে। কার্যক্রমটি সফলভাবে সম্পন্ন করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সচেতনতার বিকল্প নেই উল্লেখ করে ডা. আহমেদুল কবীর জানান, সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি। নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে পরামর্শ না নিলে উল্টো স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের কার্যক্রমটির মাধ্যমে সঠিক তথ্য ও পরামর্শ নিয়ে অনেকের উপকার হয়েছে বলে আশা করি।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে।

জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।