‘লং কোভিড’ নিয়ে বড় ধরনের গবেষণার তাগিদ
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্তের পর এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ‘লং কোভিড’ অসংখ্য মানুষকে নানাভাবে ভোগাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মানুষদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ‘লং কোভিড’ নিয়ে বড় ধরনের গবেষণার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই তাগিদ দেন এবং সবাই এ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছান।
এ সময় বক্তারা বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের অংশ হিসেবে শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। যেমন- স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, খিটখিটে মেজাজ ও রুক্ষ আচরণ করা, বিভিন্ন ধরনের নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার, হৃদরোগ, কিডনি ফেলিউর ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করতে না পারলে মানবজাতি শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
সভায় করোনার টিকা গ্রহণের পরবর্তীতে মানবদেহে কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা নিয়েও গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিশেষ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা মানুষের শরীরে কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে, সেটিও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত করার মত দেন বিশেষজ্ঞরা। এই গবেষণায় চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ানসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাধারণ মানুষকেও যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালসহ আরও অনেকে।
এএএম/এমএসএম