দুই যুগে ১৬ লাখ ইউনিট রক্ত সরবরাহ করেছে কোয়ান্টাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৭ এএম, ০১ মে ২০২৪

গত দুই যুগে ১৬ লাখ ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করে মুমূর্ষু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। ২০০০ সালে ল্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ২৪ বছরে সংগঠনটি মোট সরবরাহ করেছে ১৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬৩ ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সম্মাননা জানাতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রক্তদান মানুষের জীবন বাঁচাতে শ্রেষ্ঠ কাজ। একজন মানুষের মধ্যে মানবিক গুণাবলি জাগ্রত হলেই রক্তদানের মতো এমন মহৎ কাজ করতে পারেন। রক্তদাতারা মানবিক গুণের অধিকারী।

jagonews24.com

তিনি আরও বলেন, রক্তের যেহেতু বিকল্প নেই, রক্তদাতারা সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই মহতী এ কাজটি করে যাচ্ছেন। রক্ত কাকে দিচ্ছেন সেটিও তাদের কাছে মুখ্য বিষয় নয়। রক্তদানই আত্মত্যাগী এসব মানুষের কাছে বড় কথা।

নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে কোয়ান্টামের স্বেচ্ছা রক্তদাতার সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি। দুই যুগে ১৬ লাখ ইউনিট রক্ত দিয়ে সেবা করতে পারার জন্যে কোয়ান্টাম ল্যাবের পক্ষ থেকে সব স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আলোচকরা। একই সঙ্গে কমপক্ষে ৩ বার রক্তদান করে লাইফ লং, ১০ বার দিয়ে সিলভার, ২৫ বারে গোল্ডেন এবং ৫০ বার রক্তদান করে প্লাটিনাম ক্লাবের সদস্য হয়েছেন- এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রধান অতিথি এসময় তাদের হাতে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক নাহার আল বোখারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক (মোটিভেশন) এম রেজাউল হাসান। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দেশে রক্ত চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে তরুণ স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের মানবিক এ সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আলোচকরা।

এএএম/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।