বিবিএসের জরিপ

দেশে বিনামূল্যে মাত্র ১.৬২ শতাংশ ওষুধ পায় রোগীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫০ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২৪
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের ওষুধের চাহিদার অনেকাংশে মানুষ কিনে থাকে ফার্মেসি থেকে, যা মোট প্রয়োজনের ৯৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। অন্যদিকে, দেশে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও নানা সুযোগ সুবিধা লে মাত্র ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ ওষুধের চাহিদা মেটানো হয়। এর মাঝে দেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে প্রয়োজনের মাত্র ১.৬২ শতাংশ ওষুধ পায় রোগীরা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ খানা আয় ও ব্যয় জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এই জরিপের সময় ছিল ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে সারাদেশের ৭২০টি নমুনা এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। দৈবচয়নের ভিত্তিতে এলাকাপ্রতি ২০টি করে মোট ১৪ হাজার ৪০০ খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন প্রশিক্ষিত কর্মীরা।

জরিপে দেখা যায়, গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষদের ফার্মেসি থেকে ওষুধ বেশি কিনতে হয়। গ্রামের ৯৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ ওষুধ দোকান থেকে কেনে, অন্যদিকে শহরের মানুষ কেনে ৯৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এছাড়া গ্রামে সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পায় ১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

জরিপে আরো উঠে আসে, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ গ্যাস্ট্রিক, রক্তচাপ, বাতজ্বর, হাঁপানি ও ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগলেও তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি কোনো ধরনের চিকিৎসা নেয় না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত দুই দশকে স্বাস্থ্য ব্যয়ে সরকারের অংশ ক্রমান্বয়ে কমে ব্যক্তির পকেটের খরচ বেড়েছে। এ কারণে সাশ্রয়ের জন্য বেশির ভাগ মানুষ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই সরাসরি দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, অসুখ হলে মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ প্রথমে সরকারি হাসপাতালে যাচ্ছে। ৬০ শতাংশ মানুষ দোকান থেকে নিজে ওষুধ কিনে খায়। বাকি ২৫ শতাংশ গ্রাম্য চিকিৎসকদের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে থাকে।

তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশের উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ৪৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করে সরকার।

এএএম/এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।