শেষ স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে ডা. সামন্তলালের


প্রকাশিত: ১১:৩৯ এএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৬

দেশে পোড়া রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে নিবেদিত প্রাণ কর্মী ডা. সামন্তলাল সেন বলেছেন, আর একদিন পরেই তার জীবনের শেষ স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। বিগত বহু বছর যাবত তার কল্পলোকের স্বপ্ন ছিল রাজধানীসহ সারাদেশে হাজার হাজার পোড়া রোগীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে দেশে একটি আধুনিক হাসপাতাল স্থাপিত হবে ও দক্ষ ও প্রশিক্ষিত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জন গড়ে তুলতে বার্ন ইনস্টিটিউট গড়ে উঠবে।

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে মাত্র ৫ শয্যার বার্ন ওয়ার্ড দিয়ে স্বপ্নের যাত্রা শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন ও পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ থেকে ১শ’, ১শ’ থেকে দেড়শ’, দেড়শ’ থেকে ৩০০ শয্যা ও সর্বশেষে দেশে একটি পৃথক ৫০০ শয্যার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউট স্থাপনের মাধ্যমে তার আজীবন লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটতে যাচ্ছে আর মাত্র একদিন পর।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ৫৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপরই শুরু হবে নির্মাণ কাজ।

এ সময় জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ডা. সেন বলেন, তার সারাজীবনে স্বপ্ন আর মাত্র একদিন পরেই বাস্তব হতে চলেছে। ৫শ’ শয্যার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট স্থাপিত হলে পোড়া রোগীদের আর অকালে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরতে হবে না। তার জীবনে আর কোনো চাওয়া-পাওয়া থাকবে না। এখন মরে গেলেও কোনো আফসোস থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আন্তরিকতা ছাড়া এ বার্ন ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল স্থাপন অসম্ভব ছিল। তার সঙ্গে আলাপকালে শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন, একজন পোড়া রোগীও যেন সুচিকিৎসা না পেয়ে মারা না যায়। যা কিছু করা দরকার, যত টাকা লাগুক তিনি ব্যবস্থা করে দেবেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নির্মিতব্য বার্ন হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি দেখতে সোমবার সকালে রাজধানীর চাঁনখারপুলে যান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।