নতুন প্রজন্মের স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি ই-সিগারেট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ এএম, ২১ নভেম্বর ২০২৩

তামাক গ্রহণের বিচারে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি। এর মধ্যে আরও একটি নতুন তামাক পণ্যের প্রাদুর্ভাব আগামী প্রজন্মের স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা একান্ত জরুরি বলে মনে করেন তারা।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ই-সিগারেটের ভয়াবহতা ও আগামী প্রজন্মের স্বাস্থ্য ঝুঁকি শীর্ষক ওয়েবিনারে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।

বক্তারা জানান, বাংলাদেশে প্রধানত শহরের কিশোর-তরুণরা ই-সিগারেট গ্রহণ করছেন। ভ্রান্ত ধারণা আর উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের ফলে দ্রুতই ই-সিগারেটের ব্যবহারের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনলাইন আলোচনায় সম্মানিয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের এপিডেমিওলজি ও রিসার্চ বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

এসময় ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ই-সিগারেট এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত করা হচ্ছেনা। তবে ক্রমেই এটি যুবসমাজের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-সিগারেট আমদানির যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা বড় উদ্বেগের বিষয়।

তামাক কোম্পানিগুলো সচরাচর জনস্বার্থ বিবেচনায় না নিয়ে বাণিজ্যিক লাভকেই মূল বিবেচনায় রাখে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির।

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী তার বক্তব্যে ই-সিগারেটসহ সকল তামাক পণ্য ব্যবহারে শিশু-কিশোরদের নিরুৎসাহিত করতে স্কুল পর্যায়ে সচেতনতা কার্যক্রম এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।

ড. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, ই-সিগারেট ব্যবহারের ক্ষতি সাধারণ সিগারেটের ক্ষতির চেয়ে কম এমন একটি বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে তামাক কোম্পানিগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিশোর-তরুণদের হাতে হাত ই-সিগারেট তুলে দিচ্ছে। বাংলাদেশেও যেন এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করতে এখনই বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে হবে।

ড. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, নতুন ও আকর্ষণীয় পণ্য হিসেবে ই-সিগারেটের প্রতিও তরুণদের আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিদ্যমান আইন সংশোধনের মাধ্যমে ই-সিগারেট পুরোপুরি নিষিদ্ধের যে উদ্যোগ নিয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়িত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা। উল্লেখ্য, ভারত ও শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ২৩টি দেশে এরইমধ্যেই ই- সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে।

এএএম/এসআইটি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।