ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৫১২
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৬৬ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৫১২ জন ডেঙ্গুরোগী। বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬ হাজার ৩৭৩ জন রোগী।
শনিবার (১১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ৫১২ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩৩৮ এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ১ হাজার ১৭৪ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা চারজন আর ঢাকার বাইরের দুইজন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট দুই লাখ ৯০ হাজার ৮৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৩ হাজার ২২৭ জন, আর ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৩৪১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩১৫ জন এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ২৬ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৮২ হাজার ২৪৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৭৫৮ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৮১ হাজার ৪৮৭ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।
এএএম/এমএএইচ/এএসএম