পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর

ফল হয়নি, চাকরির শর্তে মা হতে পারছেন না বিবাহিত প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৯ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২৩

পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার (এফডব্লিইভি) জন্য তিন বছর আগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। যেখানে উত্তীর্ণদের প্রশিক্ষণ চলাকালীন গর্ভাবস্থা কিংবা তিন বছরের কম সন্তান থাকা যাবে না বলে শর্তজুড়ে দেওয়া হয়। তবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হলেও এখনো নিয়োগ শেষ করতে পারেনি অধিদপ্তর। ফলে চাকরির অপেক্ষায় থেকে মাতৃত্ব হারানোর শঙ্কায় নিয়োগ প্রত্যাশীরা।

রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে মৌখিক পরীক্ষার ফল ঘোষণার দাবিতে অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এমন শঙ্কার কথা জানান নিয়োগপ্রত্যাশীরা। মানববন্ধন শেষে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।

আরও পড়ুন: মা হাওয়ার শহর যেন এক ঘুমন্ত নগরী

নিয়োগপ্রত্যাশীরা বলছেন, ২০২০ সালের ২০ এপ্রিল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। শর্ত হিসেবে দেওয়া হয় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের প্রশিক্ষণ চলাকালীন গর্ভাবস্থা কিংবা তিন বছরের কম কোনো সন্তান থাকা যাবে না। এতে বিপাকে পড়েন বিবাহিত নারীরা। বিজ্ঞপ্তি হলেও লিখিত পরীক্ষা হয় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি। এতে সাত হাজার ৬২১ জন উত্তীর্ণ হন। এরপর মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয় চলতি বছরের ১৮ জুন। তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সেই ফল প্রকাশ করেনি অধিদপ্তর।

নিয়োগপ্রত্যাশীরা বলছেন, চূড়ান্ত ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তাদের সংসারে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মা হওয়া থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে অনেককে। দুশ্চিন্তায় অনেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না। এরমধ্যে বয়স বেড়ে যাচ্ছে, ফলে আরও নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

jagonews24

আরও পড়ুন: ৩০ বছরের পর মা হতে চাইলে যে পরীক্ষা করা জরুরি

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সেলিনা জায়তুন ইতি বলেন, আমার বয়স এখন ৩২ বছর। এখনো সন্তান নেওয়া হয়নি। ইচ্ছা থাকলেও পারছি না। কারণ, তিন বছরের বেশি সময় ধরে এ নিয়োগ আটকে রাখা হয়েছে। যেখানে অদ্ভুত এক শর্ত দেওয়া হয়েছে। দিলেও তিন বছর ধরে নিয়োগ ঝুলে রেখেছে। এখন চাকরির আশায় পরিবার টেকানো দায়। মা হতে পারবো কি না তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছি। তাই চাকরি হোক না হোক, অতিদ্রুত ফল ঘোষণার দাবি জানাই। এতে করে অন্তত এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবো।

আরেক চাকরি প্রত্যাশী তানিয়া মুস্তাকিন বলেন, অনেক আশা নিয়ে আবেদন করেছি। তিন বছর পর মৌখিক পরীক্ষা নিয়েছে। সেই ফল না দিয়ে হয়রানি করছে অধিদপ্তর। এতে করে পরিবারে মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছি।

এএএম/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।