প্রয়োজন নিয়মিত স্ক্রিনিং

মধ্যবয়সী নারীরা জরায়ুমুখ ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত, মূলে বাল্যবিয়ে

আবদুল্লাহ আল মিরাজ
আবদুল্লাহ আল মিরাজ আবদুল্লাহ আল মিরাজ , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ এএম, ০২ অক্টোবর ২০২৩

সার্ভিক্স হলো জরায়ুর নিচের দিকের অংশ, যা নারীদেহের যোনি এবং জরায়ুকে সংযুক্ত করে। যখন এ জায়গার কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন হতে শুরু করে তখন তা ক্যানসারে রূপ নেয়। অনেক সময় ক্যানসার সার্ভিক্স থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী সময়ে ফুসফুস, যকৃৎ, মূত্রথলি, যোনি, পায়ুপথেও ছড়িয়ে পড়ে। নারীদের ক্যানসারজনিত রোগগুলোর মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যানসার অন্যতম। ২০২০ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর আট হাজারের বেশি নারীর জরায়ুমুখের ক্যানসার শনাক্ত হচ্ছে। এ রোগে বছরে মারা যাচ্ছে পাঁচ হাজার নারী।

জানা যায়, নারীদের জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমাতে দেশে এক কোটি ১১ লাখ কিশোরীকে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের এইচপিভি টিকা দিতে যাচ্ছে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী; অর্থাৎ পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে এক ডোজ করে এইচপিভি টিকা পাবে। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (গ্যাভি) বাংলাদেশকে ২৩ লাখ টিকা দিয়েছে। আরও টিকা হাতে পাওয়ার পর আগামী বছরের এপ্রিল মাসে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে এবং একই বছরের আগস্টে বাকি পাঁচ বিভাগে এ টিকাদান কার্যক্রম চালানো হবে।

আরও পড়ুন: বছরে ১২ হাজার নারীর জরায়ু-স্তন ক্যানসারে মৃত্যু বড় বিপর্যয়

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের ৯৯ শতাংশ জরায়ুমুখের ক্যানসার হয়ে থাকে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস থেকে। সাধারণত এ ভাইরাসটি ছড়ায় ওই ভাইরাস আছে এমন কারও সঙ্গে যৌন মিলনের ফলে। যৌন মিলনের সময় পুরুষদের কাছ থেকে নারীদের দেহে এ ভাইরাসটি ঢুকে যায়। নারীদেহে ভাইরাসটি প্রবেশের ১০ থেকে ১৫ বছর সময়ের মধ্যে তা ক্যানসারে রূপ নেয়।

মধ্যবয়সী নারীরা জরায়ুমুখ ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত, মূলে বাল্যবিয়ে

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের ভ্যাকসিন শুধু জরায়ুমুখ ক্যানসার নয়, আরও বেশকিছু ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে। যেমন- মুখের ক্যানসার, ভ্যাজাইনাল ক্যানসার, ওরোপেরেন্সিয়াল ক্যানসার , এ্যানাল ক্যানসারও প্রতিরোধ করতে পারে।

টিকাদান কর্মসূচির বিষয়ে ইপিআইয়ের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ জাগো নিউজকে বলেন, ওয়েভসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে স্কুল পর্যায়ে দেওয়া হবে এ টিকা। সোমবার (২ অক্টোবর) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। এদিন কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এ টিকা দেওয়া হবে। এরপর ঢাকা বিভাগের সব স্কুলেই অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে টিকাদান শুরু হবে। ওয়েবসাইটের কাজ শেষ হলে কিছুদিনের মধ্যেই তা উন্মুক্ত করা হবে।

মধ্যবয়সী নারীরা জরায়ুমুখ ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত, মূলে বাল্যবিয়ে

আরও পড়ুন: লবণাক্ত পানির ব্যবহারে জরায়ু হারাচ্ছেন উপকূলের নারীরা

এ টিকার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার নির্ণয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা জাগো নিউজকে বলেন, জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধে এ টিকা দেওয়া হয়। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস অনেক ধরনের হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্যানসার সৃষ্টি করে টাইপ-১৬ এবং টাইপ-১৮। সরকার এ ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকাদানের পদক্ষেপ নিয়েছে। যে কোনো ভ্যাসকিন ছোটবেলায় দিতে পারলে ভালো। সে কারণে আমরা ভ্যাকসিনটি স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীদের দেবো।

এ ভ্যাকসিন হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। শুরুতে ২০০৭ সালের দিকে তিন ডোজ দেওয়া হতো। পরে তা দুই ডোজে কার্যকর প্রমাণ হয়। বর্তমানে এক ডোজেই কার্যকারিতা পাওয়া যাবে। তবে টিকা নিলেই সবার ক্ষেত্রে ক্যানসারের ঝুঁকি চলে যাবে তা হয়তো নয়। ৮০ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পারে। টিকা নিলেও ৩০ বছর বয়সের পর আবারও স্ক্রিনিং করাতে হবে। সেক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় তা হয়তো কিছুটা কম করলেও সমস্যা হবে না- বলেন তিনি।

মধ্যবয়সী নারীরা জরায়ুমুখ ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত, মূলে বাল্যবিয়ে

দেশে জরায়ুমুখের ক্যানসারের হার কিছুটা কমেছে জানিয়ে ডব্লিউএইচওর উদ্ধৃতি দিয়ে ডা. আশরাফুন্নেসা আরও বলেন, বাংলাদেশে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১২ হাজার নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছিল। যা নারীদের মোট ক্যানসার আক্রান্তের ৯০ শতাংশ। তবে ২০২০ সালের তথ্যে দেখা যায়, বছরে আট হাজার ২৬৮ জনের জরায়ুমুখ ক্যানসার শনাক্ত হচ্ছে। এসময়ে জরায়ুমুখ ক্যানসার কমেছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন: জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত কি না বুঝে নিন ৯ লক্ষণে

তিনি জানান, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস নারীদেহে জরায়ুমুখ ক্যানসারের মূল কারণ। ৯৯ শতাংশ জরায়ুমুখ ক্যানসার এ ভাইরাসের মাধ্যমে হয়ে থাকে। সাধারণত প্যাপিলোমা ভাইরাস মানবদেহে ক্যানসারে রূপ নিতে ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগে। যাদের ইনফেকশন হয় তাদের মাঝে ৩ শতাংশের জরায়ুমুখ ক্যানসার হতে পারে। বাকিদের ইনফেকশন ইমিউনিটির কারণে চলে যায়। এ বিষয়ে সরকার জনসচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সারাদেশে ৬০০টির বেশি জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং সেন্টার খোলা হয়েছে। যেখানে বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হচ্ছে। দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, জেলা পর্যায়ের মেটার্নিটি হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ, ক্যানসার ইনস্টিটিউট এবং দেশের ৪২৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সেবা দেওয়া হচ্ছে। ভিডিও ক্লিপ তৈরি, লিপলেট বিতরণ ও কাউন্সেলিং ছাড়াও সম্ভাব্য সবদিক থেকে জরায়ুমুখ ক্যানসারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে।

মধ্যবয়সী নারীরা জরায়ুমুখ ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত, মূলে বাল্যবিয়ে

মানুষের সচেতনতা বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০০৫ সালে আমরা যখন জরায়ুমুখ ক্যানসারের সচেতনতায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করি তখন বাংলাদেশের ১ শতাংশ মানুষও এ বিষয়ে জানতো না। কয়েক বছর আগের একটা জরিপে দেখা যায়, ৭০ শতাংশ নারীই এখন বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা রাখে। অনেকে নানা কারণে চিকিৎসা নিতে না পারলেও এ বিষয়ে জানে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে এ বিষয়ে নিবন্ধন শুরু হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত পাঁচ বছরে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ মানুষকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। তবে দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় এটি কম। জরায়ুমুখের স্ক্রিনিংয়ের সাধারণ পদ্ধতি হচ্ছে ভিজ্যুয়াল ইন্সপেকশন উইথ অ্যাসেটিক অ্যাসিড (ভিআইএ)। বিশেষ করে নার্সরাই এ কাজ করেন। জরায়ুমুখে এক মিনিট এই এসিড ব্যবহার করে যদি সাদা এলাকা দেখা যায় সেক্ষেত্রে জরায়ুমুখের ক্যানসার তৈরি হতে পারে। যাদের জরায়ুমুখের ক্যানসার পজেটিভ ধরা হয় তাদের আবার কল্পোস্কপি ক্লিনিকে পাঠানো হয়। যেখানে জরায়ুমুখকে আরও বড় করে দেখা যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতালগুলোতে এ স্ক্রিনিং ব্যবস্থা রয়েছে।

আরও পড়ুন: জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন ৬ হাজার নারীর দেহে

জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে টিকার পাশাপাশি স্ক্রিনিং প্রয়োজন জানিয়ে ডা. আশরাফুন্নেসা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০০ জনের স্ক্রিনিং করে তিনজনের পজেটিভ পেলে তাদের কল্পোস্কপি ক্লিনিকে পাঠানো হয়। সেখানে ১০০ জনের স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে দেখা যায় ৫০ জনের জরায়ুমুখ নরমাল অবস্থায় আছে। হয়তো কোনো ইনফেকশনে সাদা অংশ দেখা গেছে। বাকি ৫০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। তাপের মাধ্যমে থার্মাল এব্লুয়েশন করে চিকিৎসা দেওয়া যায় অথবা সূক্ষ্ম তারের মাধ্যমে জরায়ুমুখের আক্রান্ত অংশকে কেটে ফেলা যায়। এটা লোকাল এনেস্থেসিয়া দিয়ে করা হয়। এতে একই দিনে রোগী বাসায় চলে যেতে পারে। তারপর রোগীকে বছরে তিনবার পরীক্ষা করতে হয়। রিপোর্টে সবকিছু নরমাল এলে রোগীকে সম্পূর্ণ আশঙ্কামুক্ত হিসেবে ধরা হয়। তবে একই রোগীকে পাঁচ বছর পর পর পরীক্ষা করাতে হবে। এভাবে অন্তত দুবার পরীক্ষা করালেও জরায়ুমুখ ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যাবে।

ডব্লিউএইচওর তথ্যানুযায়ী, ৩০ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের এ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশে এর আগে কখনো স্ক্রিনিং না হওয়ায় ৩০ থেকে ৬০ বছরের নারীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। যা একজন নারীকে প্রতি পাঁচ বছর পর পর করতে হয়।

মধ্যবয়সী নারীরা জরায়ুমুখ ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত, মূলে বাল্যবিয়ে

বাংলাদেশে বর্তমানে ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সী নারীর সংখ্যা তিন কোটি। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ নারীর স্ক্রিনিং হয়েছে। যেখানে পজেটিভ এসেছে ১ লাখ ৭০ হাজারের মত। তাদের আবার পাঠানো হয়েছে কল্পোস্কপি ক্লিনিকে। ভিআইএ পদ্ধতিতে প্রাথমিক যে স্ক্রিনিং করা হয় তা বিনামূল্যেই হয়ে থাকে। তবে কল্পোস্কপি স্ক্রিনিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু খরচ পড়ে। যেমন- বিএসএমএমইউতে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হয়। অনেক সময় আর্থিকভাবে অসচ্ছলদের ফ্রিতে এ সেবা দেওয়া হয়ে থাকে।

গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের দেশে নারীদের স্তন ক্যানসার সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় হলো জরায়ুমুখের ক্যানসার। বিশ্বে জরায়ুমুখ ক্যানসার দুটি বয়সের নারীদের বেশি হচ্ছে। ৩৫-৩৯ বছর এবং ৫৯-৬৪ বছর। কিন্তু বাংলাদেশে দেখা গেছে, ৩৯ থেকে ৪৪ বছর বয়সী নারীরা সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হচ্ছেন।

আরও পড়ুন: জরায়ু-স্তন ক্যানসারে বছরে মৃত্যু ১৪ হাজার, প্রতিরোধে ব্যয় ২শ কোটি

তিনি বলেন, এর কারণ বাল্যবিবাহ। ৯ থেকে ১৩ বছর বয়সে যৌন সর্ম্পক শুরু হয়ে যায়। এ বয়সে যৌন সর্ম্পক শুরু করা নারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। বাংলাদেশে ৭০ শতাংশ জরায়ুমুখ ক্যানসারের রোগীকে সুস্থ করা যায় না। ৩০ শতাংশ রোগীকে সার্জারির মাধ্যকে সারিয়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি লাখে ১০ জন নারীর জরায়ুমুখ ক্যানসার শনাক্ত হচ্ছে জানিয়ে ডা. সাবেরা বলেন, এটিকে ২০৩০ সালের মধ্যে চারজনে নামিয়ে আনতে হবে। তবে এক্ষেত্রে শুধু টিকা দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না। কারণ, টিকা দেওয়া হচ্ছে ১৪ বছরের মেয়েদের। কিন্তু ক্যানসার শনাক্ত হচ্ছে ত্রিশোর্ধ্ব বয়সী মেয়েদেরও। এজন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্ক্রিনিং। আমাদের স্ক্রিনিং কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে। সঙ্গে কিশোরীদের টিকাদান কার্যক্রম চলবে।

এএএম/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।