ঢামেকে ডেঙ্গুতে চিকিৎসক-শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসক ও শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৭ আগস্ট) রাত থেকে শুরু করে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) পর্যন্ত এ ছয় জনের মৃত্যু হয়।
তারা হলেন, ডা. দেওয়ান আলমিনা মিশু, (৩৩) মোছা. মাইশা আক্তার (৬), মো. নজরুল ইসলাম (৩৫), মো. আশিক (১৫), মোছা. আয়েশা খাতুন (৫৮) ও মোছা. তাসলিমা আক্তার (৩৫)।
ওই চিকিৎসকের ভাই দেওয়ান জিসান বলেন, আমার বোন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএস ফেস-বি কোর্স করছিলেন। আমার দুলাভাই ডা. শোয়েব আহমেদ ইসলামিয়া আই হাসপাতালে কর্মরত। আমার বোনের দুই সন্তান রয়েছে। আমার বোনের মরদেহ জানাজা শেষে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকায় দাফন করা হয়েছে।
অন্যদের মধ্যে মায়শাকে গত রোববার দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় (৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারা যায় সে। সে ফেনী জেলার ফুলগাজী থানার মাহবুবুল হকের সন্তান।
মোছা. আয়েশা আক্তারকে গত (২৫ জুলাই) হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার গ্রামের বাড়ি বি-বাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার লুকুজদি গ্রামে।
মো. আশিক আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পাঁচটার দিকে মারা যায়। সে ঢাকার বাসা কদমতলীর পূর্ব মোহাম্মদ বাগ এলাকার মো. জাকির হোসেনের সন্তান।
মো. নজরুল ইসলাম আজ সোয়া ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি চাঁদপুর সদর জেলার বাসরপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের সন্তান।
মোছা. তাসলিমা আক্তার ময়মনসিংহ এলাকা থেকে সকাল ৮টার দিকে ভর্তি হয়। আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি ময়মনসিংহ সদর জেলার সিরতা এলাকার আব্দুল আলীমের মেয়ে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা মেডিকেলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক নারী চিকিৎসক ও শিশুসহ ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবার মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গতরাত থেকে এখন এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারী চিকিৎসকসহ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তর করা হয়েছে।
এএএম/এমআইএইচএস/এমএস