বাংলাদেশে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও বেশি
দেশের শহর অঞ্চল থেকে গ্রামে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা আরও বেশি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমাদের ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা ২১০০-এর ওপরে, এটা অনেক ভালো। বাংলাদেশ ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা পাকিস্তান এবং ভারতের থেকেও বেশি।
বুধবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২৩ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, পুষ্টির অভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপরে চাপ বাড়বে। শিক্ষার ওপরেও প্রভাব পড়বে। পুষ্টির অভাবে শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষমতা কমে যায়, উৎপাদনও কমে যায়। পুষ্টির একটি বিরাট প্রভাব রয়েছে। আমাদের দেশে এখন রাতকানা রোগ নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের আয় বেড়েছে, সেই সঙ্গে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বেড়েছে। ফলে মানুষ পুষ্টির নিশ্চয়তাও পাচ্ছে। পুষ্টির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে আমাদের নারীর ক্ষমতায়ন করতে হবে। কারণ নারীরাই বাচ্চাদের খাওয়া-দাওয়া করান এবং দেখাশোনা করেন। নারীর ক্ষমতায়ন করতে হলে তাদের শিক্ষা দিতে হবে। তাদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নারীদের চাকরি এবং শিক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়ন অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা জিংক এবং মাইক্রো নিউটেন্ট ডেফিশিয়েন্সিতে ভোগে। এসব ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বর্তমানে এ সমস্যাগুলো অনেক কমে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য আরও কমিয়ে আনা।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন পুষ্টির অভাবে বাচ্চারা খর্বকায় হয়। আমাদের দেশে খর্বকায় চল্লিশ শতাংশ ছিল, বর্তমানে সেটা নেমে বিশের ঘরে এসেছে। অর্থাৎ তারা এখন খাদ্য এবং পুষ্টি পাচ্ছে। পুষ্টির অভাবে অনেক অসুখ-বিসুখ হয়ে থাকে। আমাদের দেশে এখন ওবেসিটি অনেক বেড়েছে। ছেলে মেয়ে এবং নারীদের মধ্যে বর্তমানে ওবিসিটি বেশি দেখা দিচ্ছে। ব্যালেন্স না খেলে আমাদের বিভিন্ন অসংক্রামক দেখা দেয়। সেদিকেও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মো খুরশিদ আলম, জনস্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান।
এএএম/এমআইএইচএস/জিকেএস