ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

সব হাসপাতালে পরীক্ষাসহ ১১ পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫৮ পিএম, ২৮ মে ২০২৩
প্রতীকী ছবি

দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব আবারও বাড়ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মে মাসে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এবার ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় বাড়ার শঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাই এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ১১ পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা।

রোববার (২৮ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব পরামর্শ দেওয়া হয়।

পরামর্শগুলো হলো:

১। সব সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ স্ক্রিনিংয়ের পর্যাপ্ত কিটের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ডেঙ্গু স্ক্রিনিংয়ের চার্জ ১০০ টাকার বেশি হওয়া যাবে না।
২। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি বেড়ে গেলে আবাসিক চিকিৎসক ও আরএমও এর কক্ষে অতিরিক্ত মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দিতে হবে যাতে আগত ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত না হয়।
৩। হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত মশারির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট পরিচালককে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
৪। কোনো ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য প্লাটিলেট প্রয়োজন হলে জাতীয় গাইড লাইন অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে। ২৪/৭ ল্যাব খোলা রাখতে হবে। সরকারিভাবে ২১টি সেন্টারে প্লাটিলেট সরবরাহের ব্যবস্থা আছে, কোনো রোগীর প্লাটিলেট প্রয়োজন হলে ২১টি সেন্টার থেকে সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
৫। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার সহযোগিতায় হাসপাতালের চারপাশ নিয়মিত পরিস্কার রাখতে হবে। হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ডাব বিক্রি বন্ধ করতে হবে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
৬। ডেঙ্গু একটি ভেক্টর বাহিত রোগ বিধায় জিও লোকেশন ট্রেসিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মোবাইল নম্বর এবং পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা অবশ্যই সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করতে হবে।
৭। আইইডিসিআর এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার যৌথ উদ্যোগে কন্ট্রোল রুম খুলতে হবে।
৮। আগ্রহী চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
৯। এডিস মশার লার্ভা নিধনে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
১০। বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহে ডেঙ্গু সনাক্তকরণের NS1 Antigen (সর্বোচ্চ ৫০০টাকা), IgG & IgM (সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা), CBC (সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা) টেস্ট সরকারের পূর্ব নির্ধারিত মূল্যে করতে হবে।
১১। বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা জাতীয় গাইড লাইন অনুযায়ী করতে হবে এবং প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখাকে অবহিত করতে হবে।

এএএম/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।