জাতীয় ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল পুনর্গঠনের দাবি
জাতীয় ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল দীর্ঘদিন যাবৎ অকার্যকর উল্লেখ করে এই কাউন্সিল দ্রুত পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্ট।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বিশ্ব ক্যানসার দিবস উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ক্যানসার ও তামাকবিরোধী জোটের সহযোগিতায় এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, জাতীয় ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল কাউন্সিল দ্রুত সচল করে ক্যানসারবিষয়ক যেকোনো প্রকল্প ও পরিকল্পনা এই পরিষদের মাধ্যমে একনেকে পাঠাতে হবে।
এসময় সরকারের বিবেচনার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পাশাপাশি জাতীয় ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি আলাদাভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন। জাতীয় ক্যানসার নিবন্ধন কর্মসূচির আওতায় হাসপাতাল ও জনগোষ্ঠীভিত্তিক নিবন্ধন চালু ও সম্প্রসারণ করতে হবে। চলমান অসম্পূর্ণ, ত্রুটিপূর্ণ ও অসংগঠিত পদ্ধতির পরিবর্তে সমাজভিত্তিক সংগঠিত পদ্ধতিতে জাতীয় ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি চালু করতে হবে।
এছাড়াও সরকারের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করে হেপাটাইটিস ও এইচপিভি টিকাসহ ক্যানসার প্রতিরোধে ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যানসার রোগতত্ত্ব বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য) মজিবুল হক, বারডেমের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, ওজিএসবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম, গাইনি অনকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের সম্পাদক অধ্যাপক সাবেরা খাতুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ডা. হালিদা হানুম আখতার, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল, এনআইসিআরএইচ সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশিকার চেয়ারম্যান কবি রোকেয়া ইসলাম অংশগ্রহণ করেন।
এএএম/ইএ/জেআইএম