২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাস, ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতাল প্রস্তুতের নির্দেশ
দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে মোট ২০টি আসন প্রস্তুত করতে অনুরোধ জানিয়েছে অধিদপ্তর।
সম্প্রতি অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশনা।
এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ বেডের আইসিইউ প্রস্তুত রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন: নিপাহ ভাইরাসে মারা গেছেন ৫ জন, আক্রান্ত ৮: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এর আগে গত সোমবার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, দেশের ২৮টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিটি হাসপাতালে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের সেবা দেওয়ার সময় চিকিৎসকদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
নির্দেশনার মধ্যে ছিল:
>> রোগী দেখার সময় আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
>> রোগী দেখার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
>> জ্বরের উপসর্গ দেখা গেলে রোগীকে আবশ্যিকভাবে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখতে হবে।
>> জ্বরের সঙ্গে অজ্ঞান অবস্থা দেখা দিলে রোগীকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখতে হবে।
>> আইসিইউতে থাকাকালে রোগীর পরিচর্যাকারীরা শুধু গ্লাভস, মাস্ক পরলেই হবে। কেননা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী থেকে বাতাসের মাধ্যমে ওই ভাইরাস ছড়ায় না।
>> যেহেতু আইসিইউতে রেখে এই রোগীর চিকিৎসা করা যায়, সে জন্য রেফার করার প্রয়োজন নেই।
>> যেকোনো তথ্যের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কল সেন্টারে ১৬২৬৩/৩৩৩ যোগাযোগ করবেন।
আরও পড়ুন: নিপাহ ভাইরাস এড়িয়ে খেজুরের রস খাবেন যেভাবে
সম্প্রতি সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, চলতি মওসুমে ৮ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার শতকরা ৭০ শতাংশ।
এএএম/এমএইচআর/এএসএম