‘এইডসে আক্রান্তদের বড় অংশই মধ্যপ্রাচ্য ফেরত শ্রমিক’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেছেন, এইডসে আক্রান্তদের একটা বড় অংশ মধ্যপ্রাচ্য ফেরত শ্রমিক। এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মহাপরিচালক বলেন, আমরা এলডিজি ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। এর আওতায় এইচআইভি এইডস প্রতিরোধে বদ্ধপরিকর। দেশে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এইচআইভি প্রতিরোধের কাজ চলমান। এটি নিয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তাহলেই আমাদের লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব।
সামাজিক স্টিগমা ছেড়ে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে এইডস রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। সে তুলনায় বাংলাদেশে রোগীর সংখ্যা কম। আমরা তা ধরে রাখতে চাই। দেশে এইডসের আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে এইডসের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সব ধরনের গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। তাই সামাজিক লজ্জাবোধের জন্য চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবেন না। এইডস নিয়ে সব সামাজিক স্টিগমা দূর করতে হবে।
পরিচ্ছন্ন জীবনের পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, সংক্রামক ব্যাধি থেকে বাঁচতে হলে, জীবনকে আরও শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করতে হবে। আমাদের দেশে কোটি মানুষ বাইরের দেশে চাকরি করে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা ফেরত ব্যাক্তিদের মধ্যে এইডস বেশি পাওয়া যায়। তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও এইডস পাওয়া যাচ্ছে। দেশ থেকে যাওয়ার সময় সবাই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যান, কিন্তু আসার সময় কোনো পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় এ রোগ দেশে ছড়াচ্ছে। আক্রান্তরা না জেনেই পরিবারের সদস্যদের এ রোগে আক্রান্ত করছে।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (এনডিসি) ডা. আশরাফী আহমেদ, জাতিসংঘের প্রতিনিধি রাজেন্দ্র বোহরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস ও এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ডা. খুরশীদ আলম।
এএএম/এমআইএইচএস/এএসএম