শুধু হটস্পট নির্ধারণ করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব: আহমেদুল কবীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২২
ফাইল ছবি

এডিস মশার হটস্পট নির্ধারণ করে এর উৎসস্থল নষ্ট করা গেলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমবে। তবে একটি হটস্পট নির্ধারণ করে ওখানে নিরোধ করা গেলেও আরেকটি হটস্পট তৈরি হয়। তাই এভাবে না করে সামগ্রিক ভাবে কাজ করতে হবে।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক অবহিতকরণ ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবীর।

আহমেদুল কবীর বলেন, সিটি করপোরেশনে শুধু মাত্র হটস্পট না ঠিক করে একসঙ্গে পুরো সিটি করপোরেশনে কাজ করতে হবে। হটস্পট একটা বন্ধ করলে আরেকটি তৈরি হবে। সেজন্য সামগ্রিক ভাবে কাজ করলেই এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। এছাড়া বাসা বাড়ি, নির্মাণাধীন ভবনেও যাতে পানি জমে না থাকে এ দায়িত্ব নিজেদের নিতে হবে।

‘এখনই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ভবিষ্যতে হাসপাতালগুলোতে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হবে। লোকাল সরকারের অধীনে এডিস মশা নিধনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা নিধনে আরও সতর্ক না হলে কোনো ব্যবস্থাই কাজে দিবে না।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ডেঙ্গু নিয়ে সিটি করপোরেশন, হাসপাতাল ও স্থানীয় সরকারের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে ডেমোনস্ট্রেশন করতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে আরও বেশি প্রচার করতে হবে। ডেঙ্গু রোগীদের ম্যানেজম্যান্ট করতে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশন যেসব হটস্পটগুলো জানেন সেগুলোতে ফোকাস করতে হবে। মানুষের নজরে আনতে হবে। পাশাপাশি ওয়াসাকে তাদের এরিয়ায় যেসব জায়গায় কিউলেক্স মশা জন্মায় সেসব জায়গায় পরিষ্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।

এএএম/জেএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।