এফআরসিএস সনদ পেলেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স ও সার্জন্স অফ গ্লাসগো থেকে এফআরসিএস ডিগ্রির সনদ গ্রহণ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স ও সার্জন্স অফ গ্লাসগোর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ সনদ দেওয়া।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিএসএমএমইউয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর এ ডিগ্রি অর্জন করেন খ্যাতিসম্পন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

চক্ষু রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের। পাশাপাশি অন্ধত্ব দূরীকরণ এবং চক্ষু রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনা সৃষ্টিতে তার বড় ভূমিকা রয়েছে। চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি তিনি একজন দক্ষ সংগঠক ও সুদক্ষ প্রশাসক।

চোখের রোগসমূহের চিকিৎসা, প্রতিরোধসহ কমিউনিটি অফথালমোলজিতে অসামান্য অবদান রাখা অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ২০২১ সালের ২৯ মার্চ বিএসএমএমইউ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব হিসেবে এবং বিএসএমএমইউয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন, কমিউিনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিএসএমএমইউয়ে তিনি দীর্ঘদিন সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক কাউন্সিলের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বিএসএমএমইউয়ের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ইসি সদস্য। অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ’র পরপর তিনবার নির্বাচিত সভাপতি। গত ১৩ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সিনেট সদস্য মনোনীত করে।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের ১০০টির মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রকাশনা রয়েছে। বাংলায় চক্ষু বিষয়ক তিনটি ও ইংরেজিতে দুটি বই রয়েছে। তিনি গ্রামেগঞ্জে কমিউনিটি চক্ষু শিবিরে প্রায় ১ লাখ চোখের অপারেশন করেছেন। তার পাওয়া আন্তর্জাতিক সম্মাননাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশিষ্ট পরিষেবা পুরস্কার (২০১২), অন্ধত্ব প্রতিরোধ সম্মাননা (২০১৬), নেপালের পোখারেল ভেস্কটস্বামী পাড়া রাজাসাগরাম (পিভিপি), কমিউনিটি চক্ষুবিদ্যায় অসাধারণ কাজের জন্য পুরস্কার (২০১৮), স্বর্ণ পুরস্কার সিসিসি কলকাতা (২০১৯), এআইওসি অ্যাওয়ার্ড গুরুগ্রাম (২০২০) উল্লেখযোগ্য। বড় দুই ভাইয়ের সঙ্গে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন।

এএএম/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।