হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৯ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২২
অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন করা হচ্ছে

রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে স্বয়ংসম্পূর্ণ অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট। পুরোদমে প্ল্যান্টটি চালু হলে হাসপাতালে ঘণ্টায় ৪৫ হাজার লিটার অক্সিজেন তৈরি করা যাবে, যা হাসপাতালের শতভাগ চাহিদা মেটাবে।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) হাসপাতালের বহির্বিভাগ সংলগ্ন অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব, আইএফআরসি এশিয়া প্যাসিফিকের রিজিওনাল ডিরেক্টর আলেকজান্ডার ম্যাথিও এবং অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি এনা লেমিং।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর-উর-রহমান, বোর্ড সদস্য রাজিয়া সুলতানা লুনা, শিকদার নূর মোহাম্মদ দুলু, মো. আতিকুল হক শামীম, শিহাব উদ্দিন শাহীন, আইএফআরসি হেড অব কান্ট্রি ডেলিগেশন সঞ্জীব কাফলে এবং হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আনিসুজ্জামান।

এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব বলেন, করোনা মহামারির ভয়াবহতা কিছুটা কাটিয়ে উঠলেও এখনো এর সংক্রমণ পুরোপুরি থেমে যায়নি। করোনার সংক্রমণের শুরুর দিকে সেই সংকটাপন্ন সময়ের ভয়াবহতা মাথায় রেখেই হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আমাদের এই প্ল্যান্ট স্থাপন।

আলেকজান্ডার ম্যাথিও বলেন, আমরা বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে কাজ করতে পেরে এবং হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে পেরে আনন্দিত। এর আগে আমরা আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের সংস্কার ও সম্প্রসারণ এবং অ্যাম্বুলেন্স সহায়তাসহ জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আনিসুজ্জামান জানান, এই অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্টের মাধ্যমে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসা সেবা আরও ত্বরান্বিত হবে।

রেড ক্রিসেন্ট জানায়, প্ল্যান্টটি ৯৫ শতাংশ বিশুদ্ধতার সঙ্গে মিনিটে ৭৫০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন ও সরবরাহ করতে সক্ষম।

এএএম/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।