প্রতিবছর শতাধিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তৈরির টার্গেট আইইডিসিআরের
প্রতিবছর শতাধিক জনস্বাস্থ্য (রোগতত্ত্ববিদ) বিশেষজ্ঞ তৈরির টার্গেট নিয়েছে মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে শিগগিরই ফ্রন্ট লাইন এপিডেমিওলজিস্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম শুরু হবে।
প্রতিবছর তিনটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রতিটিতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৩০ জন চিকিৎসককে নবউদ্ভুত সংক্রামকসহ নানা রোগব্যাধি দ্রুত শনাক্তকরণে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের প্রায় ৫শ উপজেলার প্রতিটিতে একজন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তৈরি হবে।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, নতুন নতুন সংক্রামক রোগব্যাধির ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। আফ্রিকার কয়েকটি দেশে মরণব্যাধি ইবোলার সংক্রমণের পর সিডিসি আটলান্টা সংক্রামক রোগব্যাধির ঝুঁকিপূর্ণ যে ১৭টি দেশের তালিকা তৈরি করে সেখানে বাংলাদেশের নামও রয়েছে।
তিনি বলেন, গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি এজেন্ডায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে রোগ প্রতিরোধে জোর নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনায় আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আগামী পাঁচ বছরের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ কনসোর্টিয়াম গঠন করে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে আর্থিক সাহায্য করছে। প্রাপ্ত অর্থে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তৈরি করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরির সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।
এছাড়াও ইমপ্রুভিং পাবলিক হেলথ ম্যানেজমেন্ট ফর অ্যাকশন কর্মসূচির আওতায় নতুন রেসিডেন্সি কোর্স চালু হচ্ছে শিগগিরই। ইতোমধ্যেই সিডিসি আটলান্টা থেকে একজন বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতি ব্যাচে ছয়জন করে চিকিৎসক ভর্তি করা হবে। এ চিকিৎসকরা পরবর্তীতে বিভিন্ন অপারেশন প্ল্যানের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডিপিএম) পদে নিয়োগ পাবেন।
ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, বর্তমানে কোথাও কোনো রোগের প্রকোপ দেখা দিলে ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহ করাসহ প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান চালাতে হয়। ঘটনাস্থলে বিলম্বে পৌঁছানোর ফলে অনেক সময় সঠিকভাবে নমুনা সংগ্রহ ও ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। আগামী পাঁচ বছরে প্রতিটি উপজেলায় একজন করে রোগতত্ত্ব, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তৈরি হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।
এমইউ/এনএফ/এমএস