রাজধানীতে অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পর দেশের সব অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৯ মে) দুপুরে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ঢাকা ক্রাউন মেডিকেল সেন্টারের মাধ্যমে এই অভিযান শুরু করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার।
অভিযানের শুরুতে জানানো হয়, কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনিবন্ধিত ও নবায়নবিহীন কি না যাচাই করতে অভিযান শুরু হয়েছে। কাগজপত্রসহ বিভিন্ন বিষয় যাচাই করা হচ্ছে। ঢাকা ক্রাউন মেডিকেল সেন্টারে আপাতত কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি।
পরে অভিযানিক দলটি ডগমা হাসপাতালসহ আশপাশের ক্লিনিক ও ডাগায়নিস্টিক সেন্টারে যায়।
ইতোমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও কিট রাখার অপরাধে রাজধানীর বাড্ডার ডগমা হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তারের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে।
ফাহমিনা আক্তার জানান, এই হাসপাতালের লাইসেন্সসহ কাগজপত্র ঠিক আছে। কিন্তু তাদের ফার্মেসিতে ওষুধ এবং ল্যাবে কিট মেয়াদোত্তীর্ণ। কিছু ওষুধ-কিট এক বছরেরও বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ। সেজন্য তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডলের নেতৃত্বে চাঁনখারপুল এলাকায় অভিযান চলছে। চাঁনখারপুলে মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অ্যাকটিভ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মাধ্যমে এ অভিযান শুরু হয়।
গত ২৬ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। এসময়ের মধ্যে ক্লিনিক বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।
শনিবার ৭২ ঘণ্টা অতিক্রম হওয়ার পরই দেশের বিভিন্ন স্থানে অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। যদিও দেশে অবৈধ, অনিবন্ধিত ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কতগুলো সে তথ্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে নেই।
জানা গেছে, ঢাকায় বাড্ডার পাশাপাশি অন্যান্য এলাকায়ও অভিযানে নামবে কর্তৃপক্ষ।
এইচএআর/এমআরএম/জেআইএম