জনস্বার্থে আয়ুর্বেদ-ইউনানি-হোমিও ওষুধের উন্নতমান বজায় রাখুন


প্রকাশিত: ০৫:৩২ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৬

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জনস্বার্থে আয়ুর্বেদ-ইউনানি-হোমিও ওষুধের উন্নতমান বজায় রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। রোববার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কোয়ালিটি ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট পসিবিলিটি অব আয়ুর্বেদিক মেডিসিন শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওষুধ প্রশাসন এবং উৎপাদকদের প্রতি এ আহ্বান জানান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিসিনাল প্লান্টস অ্যান্ড হারবাল প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সহযোগিতায় বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এ সেমিনারের আয়োজন করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আয়ুর্বেদ-ইউনানি-হোমিও চিকিৎসা জনগণকে স্বল্পমূল্যে ও সহজে চিকিৎসা সুবিধা দিয়ে দেশে স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। রোগ নির্ণয়ে যেমন দক্ষ চিকিৎসক প্রয়োজন, তেমনি নিরাময়ের জন্য গুণগতমান সম্পন্ন ওষুধের বিকল্প নেই।’

মন্ত্রী এ সময় ওষুধনীতি মেনে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির জন্য উৎপাদকদের অভিনন্দন জানান এবং একইসঙ্গে দেশে ঔষধি-উদ্ভিদের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ ওষুধের কাঁচামালই বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। প্রয়োজন ঔষধি-উদ্ভিদের পরিকল্পিত চাষাবাদ। দেশে জনপ্রিয়তা ও আস্থা বৃদ্ধিই আয়ুর্বেদ-ইউনানি-হোমিও ওষুধের রফতানি সুগম করবে।’

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে একাগ্রভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘পূর্বেকার অপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকারগুলো দেশের উন্নয়নে ব্রতী না হয়ে ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকার দিকে নজর দিয়েছিল। এ কারণেই উন্নয়ন ও জনসেবা ছিল স্থবির।’

‘শেখ হাসিনার সরকার যেমন দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে, প্রবৃদ্ধির হার শতকরা ৬ এ বজায় রেখেছে, বছরের প্রথম দিনই ৩৫ কোটি বই বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে, ২২ হাজার মাধ্যমিক স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব নির্মাণ করছে তেমনি ১২ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক খুলে দিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে’, উল্লেখ করেন তিনি।

‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে আগামী বছর প্রবৃদ্ধির হার শতকরা ৭ ভাগে উন্নীত হবে’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সেলিম মোহাম্মদ শাহজাহান সেমিনারে সভাপতিত্বে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দীলিপ রায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

ইউনানি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. ইউসুফ হারুন ভূঁইয়া, হার্বাল প্রোডাক্টস, কসমেটিকস অ্যান্ড ডায়েটরি সাপ্লিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি খোদাদাদ আহমেদ, বাংলাদেশ ইউনানি ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি সাঈদ আহমেদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এ এম রেজাউর রহিম, হারবাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. আলমগীর মতি এবং তিব্বিয়া হাবিবিয়া কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ হাকীম ফেরদৌস ওয়াহিদ আলোচনায় অংশ নেন।

এসএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।