ঢামেকে চালু হচ্ছে ফরেনসিক মেডিসিনে এফসিপিএস কোর্স

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৫ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫

ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) চালু হচ্ছে ফরেনসিক মেডিসিন বিষয়ে এফসিপিএস কোর্স। প্রথমবারের মতো সরকারি কোন মেডিকেল কলেজে এফসিপিএস কোর্স খোলার প্রয়োজনীয় সকল শর্ত পূরণ করায় বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস্ অ্যান্ড সার্জসে (বিসিপিএস) পরিদর্শক দল ঢামেকে এ কোর্স চালুর ব্যাপারে ইতিবাচক সম্মতি দিয়েছে।

ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের একাধিক শিক্ষক জানান, জানুয়ারি সেশনেই কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতে পারে। কোন কারণে তা সম্ভব না হলে জুন সেশনে অবশ্যই চালু হবে বলে জানান তারা।

ঢমেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কাজী মোহাম্মদ আবু শামা জাগো নিউজকে বিষয়টির সত্যত্যা নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে দুই বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা অব ফরেনসিক মেডিসিন (ডিএফএম), পাঁচ বছর মেয়াদি এমডিএফ (ডক্টর অব মেডিসিন অব ফরেনসিক মেডিসিন),  এমসিপিএস প্রশিক্ষণ ও এমবিবিএস কোর্সে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে প্রতিবছর দুইবার (জানুয়ারী ও জুন) ডিএফএমে  ছয় ও এমডি কোর্সে পাঁচ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে এফসিপিএস কোর্সে পাঁচ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতে পারে। এ কোর্সে যোগ্যতা হিসেবে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে ন্যুনতম এক বছর প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। যাদের এক বছরের প্রশিক্ষণ রয়েছে তারা ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। ভর্তির সুযোগ পেলে দুই বছর প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার পর আবার এক বছর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।  

ডিএফএম ও এমডি কোর্স থাকার পরও কেন এফসিপিএস কোর্স চালু করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. আবু শামা বলেন, চিকিৎসা শিক্ষার বিভিন্ন কোর্সে ব্যাপক অগ্রগতির সঙ্গে তার মিলাতে এফসিপিএস কোর্স চালু এখন সময়ের দাবী। অপরাধী শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে চিকিৎসার খুটিনাটি ভুলক্রুটি শনাক্ত করতে মেডিকোলিগ্যাল পরীক্ষার প্রতিবেদন খুবই গুরত্বপূর্ণ। এফসিপিএস কোর্সে একজন শিক্ষার্থী ফরেনসিক মেডিসিনের সকল বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণের অধিক সুযোগ পাবে বলে জানান তিনি।  

এমইউ/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।