শনাক্তের হার বেড়েছে
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আজ (বুধবার) শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৮১০টি ল্যাবরেটরিতে ২৮ হাজার ৭৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৫ লাখ ২৭ হাজার ১৫০টি।
একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৩৭৬ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৬ জন।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনায় সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৩১৩ জনে।
৩৬ জনের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন ও নারী ১৯ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচজন ও বাড়িতে একজনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৪২৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ছয় হাজার ১৩৬ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনায় মৃত ৩৬ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব নয়জন, ষাটোর্ধ্ব ১৪ জন, সত্তরোর্ধ্ব পাঁচজন, আশি-ঊর্ধ্ব একজন ও ৯০ বছরের বেশি বয়সী একজন মারা যান।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রামে ১০ জন, রাজশাহীতে দুইজন, খুলনায় দুইজন, সিলেটে দুইজন, রংপুরে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/বিএ/জিকেএস