টিবি রোগে মৃত্যু কমেছে ৪৮ শতাংশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০০৪ সালে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও বিভিন্ন এনজিওর সহায়তায় টিবি রোগে মৃত্যু এখন প্রায় ৪৮ শতাংশ কমে এসেছে। ৭০ হাজার থেকে কমে সে মৃত্যু এখন ২৮ হাজারে নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালে অনুষ্ঠিত ওয়ানস্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার ও রিজিওনাল টিবি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি উদ্বোধনের পর আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে যক্ষ্মা রোগ কামিয়ে আনতে শনাক্তকরণ পরীক্ষা বাড়াতে হবে। আগে সংক্রমিত রোগে অসংখ্য মানুষ মারা যেতো। কিন্তু এখন করোনাসহ অন্যান্য রোগে এত প্রাণহানি হচ্ছে না।
‘যক্ষা হলে রক্ষা নাই’ এ কথা বলার এখন আর সুযোগ নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ৯৫ শতাংশ টিবি রোগী চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে সুস্থ করতে পেরেছি। টিবি খুবই খারাপ রোগ। টিবি রোগ শনাক্ত করার পর আমরা খুব ভালোভাবেই তা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। টিবি প্রতিরোধে দেশব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা, ওষুধ সরবরাহ, ফ্রি ল্যাবরেটরি সার্ভিস ও প্রয়োজনে আমরা বাড়ি গিয়েও মানুষকে সচেতন করছি। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও সংস্থাও এ নিয়ে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, টিবি হাসপাতালে ওয়ান স্টপ সেন্টার ও আঞ্চলিক টিবি রেফারেন্স ষষ্ঠতম ল্যাবরেটরি সংযোজন টিবি নিয়ন্ত্রণে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। এর আগে দেশে এ রকম পাঁচটি ল্যাবে মানুষকে সেবা দেওয়া হয়েছে।
এসময় বিমানবন্দরে পিসিআর টেস্ট ল্যাব স্থাপন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দর থেকে বলা হচ্ছিলো, ল্যাব খোলা আকাশের নিচে স্থাপন করতে। ল্যাব তো আকাশের নিচে স্থাপন করা যায় না। আমরা গিয়ে বিমানবন্দরের ভেতরেই জায়গা দেখিয়ে এসেছি যাতে ওখানেই পিসিআর ল্যাব বসানো হয়। আশা করি, যে জায়গা দেখিয়ে এসেছি সে জায়গায়ই ল্যাব বসানো হবে। পরে যদি বড় জায়গা লাগে তারও ব্যবস্থা করা হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর রেনডি আলী প্রমুখ।
এএএম/ইউএইচ/এএসএম