বিএসএমএমইউতে তিন হাজারেরও বেশি জিনোম সিকোয়েন্সিং চলছে : ভিসি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে এখন সীমিত পর্যায়ে স্বল্প সংখ্যক করোনা রোগী নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং হচ্ছে। বিএসএমএমইউতে উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমপরিমাণ তিন সহস্রাধিক করোনা রোগীর ওপর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ চলছে। মাস দুয়েক পর এর পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিএসএমএমইউতে তার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনের কার্যক্রম বিষয়ে নিউজলেটার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান করোনাকালে জীবন বাজি রেখে কোভিড-নন কোভিড রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক মানে উন্নতকরণের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। অদূর ভবিষ্যতে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য যেন বাইরের দেশে যেতে না হয়, সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। আপাতত যদি আন্তর্জাতিক মানের সম্ভব নাও হয় তবে দেশসেরা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে করোনার টিকার ট্রায়ালের জন্য আমরা সক্ষম। যদি কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের টিকা আমাদের দেশে ট্রায়াল করা হয়, যদি তারা তৈরি করতে চায়, তাহলে আমরা তা করতে সক্ষম। এক্ষেত্রে আমরা প্রথমে ৩০ জন করে পরবর্তীতে তিন হাজার/পাঁচ হাজার মানুষের ওপর ট্রায়াল হবে। তবে এ ব্যাপারে ফাইনাল কিছু হয়নি। ভবিষ্যতে হলে জানাব।
তিনি বলেন, টিকার ট্রায়াল করতে হলে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) অনুমোদন প্রয়োজন হয়। সেই অনুমোদন এখনও হয়নি। এটা এখনও স্বপ্ন দেখার মতো। প্রধানমন্ত্রী দেশে টিকা উৎপাদন করবেন বলেছেন। সরকারকে সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হবে। এক্ষেত্রে টিকার ট্রায়ালের প্রয়োজন হলে তাও করা হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা করতে যা যা লাগে তা করা হবে।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য সফলভাবে ১০০ দিন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করায় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি, রেজিস্ট্রার, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, বিভাগীয় প্রধানগণ তাকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন। এছাড়া জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজি দীন মোহাম্মদ ও বিএমএ’র সাবেক মহাসচিব স্বাস্থ্য অধিদফতরের মেডিকেল অ্যাডুকেশনের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম তাকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন।
এমইউ/এআরএ/জিকেএস