ডা. আবদুল্লাহর নাম ও ছবি দিয়ে করোনার ভুয়া প্রেসক্রিপশন প্রচার!

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৪৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২১

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহর নাম এবং ছবি ব্যবহার করে কোভিড-১৯ চিকিৎসার একটি চিকিৎসাপত্র প্রচারিত হচ্ছে অনলাইনে। ভুয়া ওই ব্যবস্থাপত্রে একটি নামকরা ওষুধ কোম্পানির তৈরি ওষুধসহ নানা পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মৃদু মাত্রার করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১০টি ট্যাবলেট, মাঝারি মাত্রার করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১৩টি ট্যাবলেট ও গুরুতর মাত্রার সংক্রমণের ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে সেখানে।

বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসক মহলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলেছেন, এটি আদৌ ডা. আবদুল্লাহর প্রেসক্রিপশন কি-না, নাকি তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।

সহকর্মীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে এবিএম আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘সম্প্রতি আমি আমার চিকিৎসক সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে কোভিড-১৯ চিকিৎসার একটি ব্যবস্থাপত্র বেনামে প্রচার করা হচ্ছে। এভাবে গণমাধ্যমে সরাসরি ওষুধ সম্বলিত ব্যবস্থাপত্র প্রচার করা উচিত নয়, এতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। আমাদের দেশের এ করোনা সংকটকালে চিকিৎসক এবং সাধারণ জনগণকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।‘

তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে কোন কোভিড-১৯ রোগী (মৃদু, মাঝারি ও সংকটময়) কী চিকিৎসা পাবে তা নির্ধারিত হয় রোগীর অবস্থা বুঝে এবং তা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকগণ গাইডলাইন ও ব্যক্তিগত দক্ষতা দ্বারা নির্ধারণ করেন। এমনকি আইসিইউ বা ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীর চিকিৎসাও কিন্তু রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তাই জনগণের প্রতি অনুরোধ আপনাদের করোনা সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ফ্রি টেলিমেডিসিন নাম্বারগুলোতে (৩৩৩,১৬২৬৩ ও ১০৬৫) যোগাযোগ করেন এবং প্রয়োজন হলে সরাসরি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন।‘

এমইউ/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।