শিশুর বুদ্ধির সুষ্ঠু বিকাশে প্রয়োজন সুখী মা
শিশুর বুদ্ধির সুষ্ঠু বিকাশে প্রয়োজন মানসিকভাবে সুখী মা। শিশুর জম্মের পর প্রথম এক হাজার দিন অর্থাৎ তিন বছরের মধ্যে তার মস্তিস্কের পূর্ণ বিকাশ ঘটে। যে সকল পরিবারের মায়েরা গর্ভধারণকাল থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব ও প্রসবোত্তর সময়ে মানসিক চাপ ও অবসানমুক্ত থাকেন তাদের শিশুরা অধিক চটপটে ও বুদ্ধিমান হয়।
আইসিডিডিআরবি’ পরিচালিত সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রোববার রাজধানীতে আইসিডিডিআর’বির সাসাকাওয়া মিলনায়তনে এই গবেষণা তথ্য প্রকাশ করা হয়।
গবেষকরা জানান, আইসিডিডিআরবি’র ওই গবেষণাটি ছিল খুবই সহজ ও অর্থসাশ্রয়ী। সেখানে তৃণমূল পর্যায়ের অবসাদগ্রস্থ মায়েদের ওপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়। বিজ্ঞানীরা উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে সে সকল মায়েদের মানসিকভাবে চাঙা থাকার উপায় বলে দিয়ে সেভাবে জীবনযাপনে অনুপ্রাণিত করেন। গবেষণা ফলাফলে দেখা গেছে মানসিকভাবে শান্তিতে ছিলেন এমন মায়েদের সন্তানদের বুদ্ধির সুষ্ঠু বিকাশ ঘটেছে।
গবেষকরা আরও জানান, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মায়েদের মানসিক অবসাদের কারণে দুই কোটি শিশুর বুদ্ধির পূর্ণ বিকাশ ঘটে না। গর্ভকালীন সময়ে মায়েরা বিভিন্ন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগে থাকেন। বাংলাদেশে শতকরা ২৫ ভাগ গর্ভবতী মা (বিশেষ করে প্রথম গর্ভকালিন সময়) মানসিক অবসাদে ভোগেন।
মুখ্য গবেষক ড. ফাহমিদা তোফায়েল বলেন, মানসিকভাবে সুস্থ একজন মা একটি শিশুর জীবন সুন্দরভাবে শুরু করাতে পারেন। ক্রমান্বয়ে ভাল স্কুল কলেজে পড়াশুনা করিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন।
সেমিনারের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. হাবিব ই মিল্লাত বলেন, ভবিষ্যতে সুস্থ জাতি গঠনে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুর সুষ্ঠু বিকাশ খুবই গুরত্বপূর্ণ হলেও অনেক সময় তা প্রধান সমস্যা মনে করা হয় না। এ বিষয়টিকে অধিক নজর দেয়া উচিত বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডা. হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ শরীফ উপস্থিত ছিলেন। আইসিডিডিআরবি ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এ গবেষণায় অর্থায়ন করে গ্রান্ড চ্যালেঞ্জেস কানাডা।
এমইউ/এসকেডি/আরআইপি